শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ

ভিশন বাংলা ডেস্কঃ ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলটির এমপিও বাতিলেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের গঠিত তদন্ত কমিটি আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিংবডিকে প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) নাজনীন ফেরদাউস, বেইলি রোড ক্যাম্পাসের প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শিক্ষক হাসনা হেনাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গভর্নিংবডিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন মন্ত্রী।শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে শিক্ষকদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মের কথাও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটিকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্বেও তারা এখনো পূর্ণ অধ্যক্ষের ব্যবস্থা করেনি, এটাও অনিয়ম। তারা নিয়মের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করে, টাকা নেয় বেশি, শিক্ষার্থীও বেশি নেয়। অভিভাবকরা ভয়ে তেমন কোনো অভিযোগ করেন না।গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ওই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী’ হিসেবে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন অরিত্রির বাবা। মামলার আসামিরা হলেন- অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনা।অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তারা বাবা দিলীপ অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গত রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। সোমবার স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি দেয়ার) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com