শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে হিন্দুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, এটা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করেন এবং তিনি সেই বিশ্বাস থেকে আমাদের নির্দেশনা দেন ও আমরা সে অনুযায়ী কাজ করি বলে। আমরা এখানে কোন সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান হতে দেব না, যোগ করেন তিনি।
চট্টগ্রামের শহীদদের স্মরণে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের জঙ্গি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস দমনে সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আলোচনা সভায় আরও বলেন, ইন্ডিয়ান নেতারা আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করতেন তোমাদের দেশে হিন্দুদের পার্সেন্টেস কত। বলতাম এটা দশের কাছাকাছি। তারা বলত ২০০৪ এ আট ছিল। আজকে বারো’র কাছাকাছি।
প্রিয়া সাহার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে কীভাবে তিনি গেলেন। কারা তার ব্যবস্থা করে দিলেন সেগুলো কিন্তু আস্তে আস্তে আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই ব্যাপারে আমাদের কোন ইন্টারেস্ট নাই। তিনি যেটা বলেছেন বাংলাদেশের মানুষ সেটা বিশ্বাস করে না
শিগগিরই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, এদের হারানোর কিছু নেই কাজেই এরা যে কোন চ্যালেঞ্জে সম্পৃক্ত হতে পারে, কাজেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
এর আগে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বহুমুখী চক্রান্ত করছে। সারা দেশে ওয়াজ মাহফিল কিংবা সমাবেশের মাধ্যমে ভিন্নধর্ম ও ভিন্নমতের লোকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। যা বাংলাদেশে জঙ্গি ও মৌলবাদের ক্ষেত্র উর্বর করছে। প্রিয়া সাহার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের গুম হওয়া নিয়ে যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন, তা ভিত্তিহীন।
সভায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, সাংগঠনিক কোন সিদ্ধান্তে প্রিয়া সাহা আমেরিকায় যায়নি। পরিষদ গতকাল দেশি বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছি। ।
শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল আনেয়ার এবং আরমা দত্ত এমপি, মেজর জেনারেল মেহাম্মদ আব্দুর রশীদ (অব.) প্রমুখ।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল কমিটি প্রতিবছর চট্টগ্রামের ৫ শহীদের স্মরণে দেশব্যাপী আলোচনা সভার আয়োজন করে থাকে। উল্লেখ্য – ১৯৯৪ সালের ২৬ জুলাই চট্টগ্রামে জামায়াত ইসলামীর শীর্ষ নেতা গোলাম আযমের জনসভাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত প্রতিরোধ মিছিলে জামাত-শিবিরের হামলায় নির্মূল কমিটি ও ছাত্রলীগের ৫ জন তরুণ কর্মী শহীদ হয়েছিলেন।