শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে কোরবানীর পশুবাহী ট্রাক না থামানোর জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
৩১ জুলাই বুধবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় (এপ্রিল-জুন ২০১৯) সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এমন নির্দেশ প্রদান করেন। সভায় সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, মহাসড়কের উপর কোনভাবেই কোরবানীর পশুর হাট বসানো যাবে না। মহাসড়ক, নৌপথ ও রেলপথে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রাখতে হবে। তিনি কোরবানীর পশুর চামড়া পাচাররোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। কেন্দ্রীয় ঈদগাহসহ দেশের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, কোন স্থানে গুজবের ঘটনার উদ্ভব হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলো। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে পোশাক শিল্প নিয়ে যেন কোন ধরনের গুজব সৃষ্টি না হয় সে দিকে সর্তক থাকতে হবে পুলিশ সদস্যদের।
আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদের মত মাদকের বিরুদ্ধেও পুলিশের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। মাদকের বিস্তার রোধে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কে মুজিব বর্ষের অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, এ সেবা বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ৯৯৯ এর কলকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সভায় আসন্ন ঈদুল আযহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সম্প্রতি কনস্টেবল নিয়োগ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, এবারের কনস্টেবল নিয়োগ সারা দেশে অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে। জনগণের কাছে পুলিশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান চলতি বছরের ৩ মাসের (এপ্রিল-জুন ২০১৯) সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
সভায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, রাজশাহীর প্রিন্সিপ্যাল মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত আইজিপি (এএন্ডও) ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, এন্টিটেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আবুল কাশেম, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মহসিন হোসেন, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আবদুস সালাম, সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, এসবি প্রধান মীর শহীদুল ইসলাম, টিএন্ডআইএম’র অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ ইকবাল বাহার, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি মোশারফ হোসেন, পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।