সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতন্ত্র বনাম রাজনীতি: সংকটে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রগতি লাইফের ১৫% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দর বৃদ্ধির শীর্ষে রূপালী ব্যাংক কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে সারের দাবিতে কৃষকদের সড়ক অবরোধ তরুণদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে: প্রধান উপদেষ্টা ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খানকে প্রগতি লাইফের শুভেচ্ছা বিধিবহির্ভূত বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগ, আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে দুদকে তলব নাইজেরিয়ায় বিয়ের বাস নদীতে পড়ে প্রাণ গেল ১৯ জনের গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সিইও পদে ফারজানা চৌধুরীর পুনঃনিয়োগ বৈষম্যের শিকার খালেক মিয়া ইসলামী ইন্সুরেন্সে স্বপদে ফিরতে চান
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৮২ শতাংশ ঝুঁকিতে থাকে

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৮২ শতাংশ ঝুঁকিতে থাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন করোনা ভাইরাসে (২০১৯-এনসিওভি) আক্রান্তদের মধ্যে ৮২ শতাংশ স্বল্প ঝুঁকিতে থাকে। আক্রান্তদের ১৫ শতাংশ অবস্থা কিছুটা খারাপ থাকে। মাত্র তিন শতাংশের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়। যাদের আইসিইউতে রাখায় দরকার হয় বলে বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। শনিবার  করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলেন এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিশ্বে এ পর্যন্ত নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪৮১ জন। মারা গেছেন ৬৩৭। আর চীনসহ ২৫ দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৭ হাজার রোগীর ওপর করা বিশ্লেষণের তথ্য উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, সেখানে শতকরা ৮২ ভাগ রোগী স্বল্প ঝুঁকিতে থাকে, শতকরা ১৫ ভাগ রোগী কিছুটা ঝুঁকিতে থাকেন। বিশেষ করে যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা থাকে। শতকরা তিন ভাগ রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন থাকে। যাদের আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যায় এন করোনা ভাইরাস নিয়ে আসলে তেমন আতঙ্কের কিছু নেই। বেশিরভাগ কেসই খুব সাধারণ।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন পর্যালোচনা প্রতিবেদন অনুযায়ী শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ১৫১ জন। যা আগের দিনের ছিল তিন হাজার ৬০০ জন। মনে হচ্ছে এটা কমতে শুরু করেছে। যদিও এখনই কিছু বলা ঠিক না তারপরও মনে হচ্ছে পরিস্থিতি কিছুটা ভালোর দিকে যাচ্ছে। অন্তত নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে না। একইসঙ্গে নতুন কোনও দেশ আক্রান্ত হয়নি, এটাও পজিটিভ।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, আমাদের দেশে কেবল চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলোকেই স্ক্রিনিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে না। অন্যান্য দেশেও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তাই দেশে আসা সব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। এটা করা হচ্ছে অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য।

তিনি বলেন, মাস্ক ব্যবহার নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। রোগী এবং রোগীর সেবাদানকারী ছাড়া আর কারও মাস্ক ব্যবহারের দরকার নেই। চীনে সবার মাস্ক পরা দেখে অনেকেই মনে করেন আমাদেরও সবার মাস্ক পরা দরকার। কিন্তু চীনে অনেক রোগী রয়েছে, জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত নতুন করোনা ভাইরাসের কোনও রোগী সনাক্ত হয়নি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com