সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বুধবার গুয়াংডং প্রদেশের একটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই বার্তা দেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘জিনহুয়া’।
বুধবার গুয়াংডং প্রদেশের চাওঝাও শহরে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শনে যান জিনপিং। সেখানেই কোরের সদস্যদের ‘চূড়ান্ত সতর্ক’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাহিনীর উদ্দেশে তার বার্তা, ‘আপনাদের মন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে রাখুন।’ সেনাবাহিনীর প্রতি জিনপিংয়ের এই বার্তা মুহূর্তেই সাড়া ফেলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। আসলে তিনি যে ঘুরিয়ে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন সে কথাও স্পষ্ট।
সম্প্রতি তাইওয়ান প্রণালী (চীন এবং তাইওয়ানের মাঝে প্রণালী)-তে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজকে টহল দিতে দেখা গেছে। যদিও আমেরিকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটা ‘রুটিন’ সফর। কিন্তু ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের পিছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য দেখছে বেইজিং। আর তা নিয়েই দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পারদ নতুন করে চড়ছে বলে আন্তর্জাতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করছে। তাদের ধারণা, সে কারণেই মেরিন কোরের সদস্যদের যুদ্ধের জন্য ‘প্রস্তুত’ থাকার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর সিদ্ধান্তের কড়া নিন্দা করেছে বেইজিং।
এর আগে সোমবার হোয়াইট হাউস মার্কিন কংগ্রেসকে জানিয়েছিল যে, তারা তাইওয়ানের কাছে উন্নত ও দ্রুতগতির রকেট সিস্টেমসহ (হিমারস) তিনটি উন্নত আর্টিলারি ব্যবস্থা বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে। এর জবাবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝা লিজিয়ান ওয়াশিংটনের প্রতি ‘তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা অবিলম্বে বাতিল করার’ এবং সমস্ত ‘মার্কিন-তাইওয়ান সামরিক চুক্তি’ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ওয়াশিংটনের তরফে পাল্টা বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনেই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ চলবে এবং বিমান উড়বে।’
এদিকে, লাদাখ নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাত চলছে চীনের। সপ্তম সামরিক বৈঠকেও মিলেনি সমাধান। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, এদিন ভারতকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন চীনা প্রেসিডেন্ট। সূত্র: সিএনএন, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।