নিজস্ব প্রতিবেদক:
নায়ক ফারুকের ঋণখেলাপির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিত্রনায়ক ফারুকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এই মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, একটি পক্ষ ছড়াচ্ছে যে তিনি পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি, অথচ এটি প্রোপাগান্ডা।
খসরু বলেন, তিনি এক কোটি টাকার মতো যে ঋণ নিয়েছেন, তার বদলে ব্যাংকে যে সম্পত্তি মর্টগেজ রেখেছেন তার মূল্য আরো বেশি। মর্টগেজ সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকের ঋণ তো শোধ হবে, তারপরও সেখানে যে টাকা থাকবে, সেটা তার পরিবার পাবে।
প্রযোজক খসরু আরো বলেন, চিত্রনায়ক ফারুক শুধু অভিনেতা হিসেবেই সফল ছিলেন না, নেতা হিসেবেও সফল ছিলেন। তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের অভিভাবক। তিনি তার এলাকার মানুষকেও অনেক ভালোবাসতেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাইখ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) সোমবার (১৫ মে) সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।
এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমায় তার অভিষেক ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ নামে দুটি সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ২০১৬ সালে ভূষিত হন আজীবন সম্মাননায়।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘সারেং বৌ’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমণি’, ‘মিয়া ভাই’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’ ইত্যাদি। ‘মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়া ভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান।