রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
রুবেল হোসেন: সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংবাদ সংগ্রহকালে দৈনিক রূপবানী বিশেষ প্রতিনিধি এসএম কামাল দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হয়েছেন। গত ১৪/১২/২০২৩ তারিখে মুন্সিগঞ্জ জেলার মিরকাদিম পৌরসভার রামপাল ইউনিয়নের সাত (০৭) নং ওয়ার্ড সিপাহিপাড়ার চৈগাড়ারপাড় এলাকায় একটি বেপরোয়া বালুবাহি ট্রাক রাস্তার পাশে মানুষের উপর চড়াও হলে ট্রাকের ধাক্কায় একব্যক্তি নিহত এবং আরো দুইজন আহত হয়। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হতাহত ব্যক্তি এবং ঘাতক ট্রাকের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য এলাকায় বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান করেন জাতীয় দৈনিক ‘দৈনিক রূপবানী’র বিশেষ প্রতিনিধি এসএম কামাল।
গত ১৭/১২/২০২৩ তারিখে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘাতক ট্রাকটির অবস্থান জানতে পেরে সাংবাদিক এসএম কামাল দুপুর সাড়ে এগারোটার দিকে চৈগাড়ারপার এলাকায় পৌঁছে স্থানীয় টিনশেড মার্কেটের পিছনের দিকে ঘাতক ড্রাম ট্রাকটিকে দেখতে পায়। (ট্রাকটির নম্বর ঢাকা মেট্রো- ড- ১২-৪৩৫২, খবরের প্রয়োজন এবং পেশাগত কারণে সাংবাদিক কামাল ট্রাকটির একটি ছবি তোলেন। এমন সময় শাকিল শেখ (বয়স আনুমানিক ৩৭) পিতা: আ. আজিজ শেখ, হঠাৎ সাংবাদিক এসএম কামালের উপর চড়াও হয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, ‘কে তুই, কী তোর পরিচয়, মোবাইলে ছবি তুললি ক্যান’? জনাব কামাল নিজেকে সংবাদকর্মী পরিচয় দেয়ার পরপরই অতর্কিতে শাকিল শেখ সাংবাদিক কামালের উপর চড়াও হয়ে কিল, ঘুশি, ধাক্কা, লাথি মারতে থাকে।
এসময় শাকিল সাংবাদিক কামালের শার্টের কলার চেপে ধরে হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং মোবাইলটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। এবং বলতে থাকে ‘যে মারা গেছে তার পরিবারের সাথে এবং থানা পুলিশের সাথে আমাদের দফা-রফা হইছে। সব মিটে গেছে। কিন্তু তোর কী সমস্যা’? এরইমধ্যে শাকিলের অনুসারি অনেকেই চলে আসে। শাকিলের লোকজন এসে ছবি তোলার কারণ জানতে চাইলে, সাংবাদিক কামাল ‘একটি সচেতনতামূলক ভিডিও কনটেন্ট তৈরির কথা জানায়’। এতে শাকিলের লোকজন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে, ওখান থেকে চলে যেতে বলে। যেতে দেরি করলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলে, ‘আগে তো একজনে মারছে, এখন সবাই মিলে মারবো, নতুবা মাটিতে জ্যান্ত পুঁতে ফেলবো’।
প্রাণ নাশের আশঙ্কায় সাংবাদিক এসএম কামাল স্থান ত্যাগ করে চলে। স্থানীয় সদর থানায় সাংবাদিক এসএম কামাল জীবনের অনিশ্চয়তার কথা জানিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিশন বাংলা ও দৈনিক বাংলার দূত পত্রিকার কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পায়। ঘটনার অন্তরালে উঠে আসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জাহিদ মেম্বার ও শাকিল বাহীনির অত্যাচার-নিযাতন ও চাঁদাবাজীর ভয়াবহ চিত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, এই সন্ত্রাসীগ্রুপের কাছে এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদই করা যাচ্ছে না। কয়েক বছর আগে থেকেই মেম্বারের ছত্রছায়ায় একসময়ের বিএনপি নেতা শাকিল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বর্তমানে বেপরোয়া হয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। আর এসব চাদাবাজী ও দখলবাজী চালিয়ে তারা কোটিপতি বনে গেছেন। তাদের এসব অপকর্ম নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। বিস্তারিত ধারাবাহীকভাবে তুলে ধরা হবে।