কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি’র উত্তর রাবাইতারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আমীন নুরু মাস্টারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড,চাকুরি দেয়ার নামে এক নারীর সাথে প্রতারণা ও স্বজনপ্রীতি’র অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরু মাস্টারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।সম্প্রতি উদ্দীপ্ত নেওয়াশী পেজে এক নারীকে চাকুরি দেয়ার নামে প্রলোভনের ভিডি ভাইরাল হয়।ওই ভিডিও আপলোড কারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন নুরু মাস্টার। তার এহেন কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না কেউ।উপরন্ত বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান ও পরিবেশ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।
শনিবার ২৫ দুপুরে বটতলা বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে, অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুর অনৈতিক কর্মকান্ড,চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী নারীর সাথে প্রতারণা ও প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে স্বজন প্রীতির তদন্ত পূর্বক শাস্তির দাবী জানান শিক্ষার্থীরা।এসময় অনান্যরা শিক্ষার্থীদের মধ্য শিক্ষার্থী মোঃ আসিফ মাহমুদ, ফেরদৌস বাবু উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া পরিবেশ নষ্ট করার মুলে নুরু মাস্টার দায়ী।টাকার গরমে দিনকে রাত, রাত দিন করার অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।কৌশলে একই স্কুলে নুরু মাস্টারের বড় ভাই, নিজের ছেলে ও নিজেই চাকুরি করছেন।টাকা ও পেশি শক্তি দেখিয়ে তার অপকর্ম ঢাকতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাত পাচ বুঝিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চরম ক্ষত্র করে যাচ্ছেন।স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থী উপর বদ নজর, ইঙ্গিত ও আচরণ খারাপ করলেও লাজ্ব লজ্বায় কেউ মুখ খুলার সাহস পায় না।প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমন আচরণের প্রতিবাদে তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবী জানান বক্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকক বলেন,ওই শিক্ষকের চরিত্র ভালো না।ইতিমধ্যে অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, তবে কেউ মুখ ফুটে বলার সাহস পায় না।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন,নুরুল আমীন মাস্টার আমাকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে অনেক জায়গা নিয়ে গেছে। মোবাইলে খারাপ কাজের কথা বলতো।আমি বিচার চাই
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নুরু মাস্টার বলেন,ওই নারীর সাথে জমি কেনাবেচা বিষয়ে কথা বলেছিলাম।আমাকে জমি দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে ওর পরিবার থেকে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।মিথ্যে ও অপপ্রচার করে আমার সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে।এ বিষয়ে আমি ফুুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছি।
ফুুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুস সালাম বলেন,আমরা ওই প্রধান শিক্ষকের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের কাজ চলমান রেখেছি।