ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রশিদ হাবিবকে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন সবুজবাগ থানার শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, হাবিবুর রশিদ হাবিবকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া দলটির একটি সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। ত্যাগ, সংগ্রাম ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে রাজনীতি করা এই নেতাই ধানের শীষের যোগ্য উত্তরসূরি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাবিবুর রশিদ হাবিব দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বারবার অত্যাচার, নির্যাতন ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। তবুও তিনি কখনো মানুষের পাশ ছেড়ে যাননি। এলাকার সন্তান হিসেবে অতীতেও তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ছিলেন, এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও আজীবন পাশে থাকবেন—এমন বিশ্বাস থেকেই মানুষ তাকে তাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চায়।
শ্রমিক নেতা আরও বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জননেতা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হাবিবুর রশিদ হাবিবের মতো পরীক্ষিত ও জনপ্রিয় নেতার কোনো বিকল্প নেই। এলাকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন, ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে হাবিব ভাইই হতে পারেন সবচেয়ে কার্যকর কণ্ঠস্বর।
এদিকে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য জনগণ এবং জনগণের কল্যাণ। নির্বাচিত হওয়া না হওয়া বড় কথা নয়, বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে—ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, মানুষের আস্থা ও ভালোবাসাই বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর প্রসঙ্গে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস আমাদের স্বাধীনতার চিরন্তন স্মারক। মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার ঘোষণা ও সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা লাল-সবুজের পতাকা এবং একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।
তিনি আরও বলেন, দুঃখজনকভাবে যুগে যুগে স্বৈরাচাররা এসে সেই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। এখন নতুন করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এলাকাবাসীর উদ্দেশে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, তিনি একজন সন্তান হিসেবে সবার ভালোবাসা ও দোয়া চান। তিনি অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন এবং নেতা মির্জা আব্বাস ও তাঁর সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাসের জন্যও দোয়া চান। তিনি বলেন, ভালোবাসার মধ্য দিয়েই তিনি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে চান এবং ভালো কাজের সঙ্গেই থাকতে চান।
এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খারাপ কাজগুলো যেন সবাই মিলে প্রতিহত করা যায় এবং ভালো কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া যায়—এই প্রত্যাশাই তিনি মানুষের কাছে ব্যক্ত করেন। একজন এলাকার সন্তান হিসেবে মানুষের দোয়া ও সমর্থন নিয়ে তিনি আজীবন এলাকাবাসীর পাশে থেকে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।