সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু
সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারক চক্রের এক ভূয়া মেজরসহ দুইজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২

সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারক চক্রের এক ভূয়া মেজরসহ দুইজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২

ভিশন বাংলা ডেস্কঃ র‌্যাবের কাছে বেশ কিছু জায়গা থেকে এই ধরনের প্রতারণার কিছু তথ্য আসার পর র‌্যাব-২ এর একটি দল বিষয়টি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল ১৯ জানুয়ারি ২০১৯খ্রিঃ আনুমানিক ১৯.০৫ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরীর আদাবর থানাধীন বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি, রোড নং-১, বাসা নং-২৭৩/২৭৪ জারা টাওয়ার এর সামনে পাকা রাস্তার উপর হইতে ভূয়া মেজর পরিচয় দানকারী চক্রের অন্যতম হোতা ১। সৈয়দ আবু জাফর (৬১) কে আটক করা হয়। আটককৃত আসামী সৈয়দ আবু জাফর এর দেওয়া তথ্য মোতাবেক তার চক্রের অপর সদস্য ২। শিল্পী আক্তার (২৯)কে আটক করা হয় এবং মোঃ আতাউর রহমান খাঁনসহ ৩/৪ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটককৃত এবং পলাতক আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র। তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার ভূয়া পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের নিকট হইতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং নৌ বাহিনীতে চাকুরী দেয়ার নামে প্রার্থীদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত এবং পরবর্তীতে তাদেরকে চাকুরী না দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিল। ধৃত আসামীদের’কে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।
সৈয়দ আবু জাফর (৬১) এই চক্রের প্রধান হোতা, সে এই চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করতো। সে নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত মেজর হিসাবে পরিচয় দিত। বিভিন্ন মানুষের কাছে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত মেজর র‌্যাংক ব্যাজ সম্বলিত ছবি প্রদানের মাধ্যমে সে নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর হিসাবে উপস্থাপন করত। তার অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষ বিশ্বাস করতো যে সে সেনাবাহিনীর একজন অবসর প্রাপ্ত মেজর। সাধারন ছাত্র, বেকার যুবক, দরিদ্র ছাত্রদের সেনাবাহিনী এবং নৌ বাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার কথাবলে ঢাকায় নিয়ে আসত। পরবর্তীতে চাকুরি প্রত্যাশীদের সেনানিবাস ও আশেপাশের এলাকায় গাড়ী দিয়ে ঘুরিয়ে আনত। কিছু ক্লিনিকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিষয়টিকে বিশ^াসযোগ্য করে তুলতো। অবশেষে সে তার চক্রের সহায়তায় চাকুরি প্রত্যাশীদের বিভিন্ন বাহিনীতে যোগদানের জন্য ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করত। এতে তারা আশ^স্ত হয়ে বিপুল পরিমান টাকা এই ভূয়া মেজর ও তার চক্রকে প্রদান করত। সে মোঃ হাবিবুর রহমান সরদার ও মোঃ আজগর আলী নামের ০২(দুই) জনকে নৌ বাহিনীর ০২ টি ভূয়া নিয়োগপত্র দেয়। সে আরোও জানায় ১। মোঃ আবুল কালাম আজাদ(৩০), ২। মোঃ আলামিন(২১), ৩। মোহাঃ জিয়াউল হক(২১), ৪। মোঃ পলাশ(২০), ৫। মোহাঃ আব্দুর রহমান(২০), ৬। মোঃ আব্দুল আলিম(২১) দেরকে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী ও নৌ বাহিনীতে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা গ্রহন করেছে। সৈয়দ আবু জাফর ভূয়া মেজর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিত। তার এলাকার দারোয়ান থেকে ডিস ব্যবসায়ী পর্যন্ত সকলেই তাকে মেজর পরিচয়ে চিনত এবং সে তাদের উপর প্রভাব দেখাতো।

শিল্পী আক্তার (২৯) এই চক্রের ২য় হোতা, তিনি সৈয়দ আবু জাফর এর ৩য় স্ত্রী। সে বিভিন্ন সময় সেনা বাহিনী ও নৌ বাহিনীতে ভর্তি ইচ্ছুক প্রার্থীদের নিকট হতে অবৈধ টাকা গ্রহন করিত এবং তার স্বামী সৈয়দ আবু জাফরকে সকল অবৈধ কাজে পূর্নাঙ্গ সহযোগিতা করত।

এই চক্রের অপর এক সদস্য মোঃ আতাউর রহমান খান(৫০)। সে মূলত রাজশাহী এলাকার সাধারন ছাত্র, বেকার যুবক, দরিদ্র ছাত্রদের সেনাবাহিনী এবং নৌ বাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার কথাবলে মুল হোতা সৈয়দ আবু জাফরের নিকট নিয়ে আসত। পরবর্তীতে সেনা বাহিনী এবং নৌ বাহিনীতে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন এবং ভূয়া নিয়োগপত্র দেখাত। তার মূল কাজ ছিল গ্রাম থেকে শহর মুখি ছাত্র, দারিদ্র ছাত্র, বেকার যুবকদের টার্গেট করে ভূয়া অবসর প্রাপ্ত মেজর সৈয়দ আবু জাফর এর পর্যন্ত আনা।

এই চক্রের সাথে আরো ৩/৪ জন সদস্য জড়িত আছে মর্মে জানা যায়। ধৃত আসামীদের’কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতেও র‌্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com