স্টাফ রিপোর্টার: গণহারে ফেলসহ নানা সমস্যা সমাধানের দাবিতে করা সড়ক অবরোধ আজকের মতো স্থগিত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে বুধবার আবারো সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিবে শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, সমস্যা সমাধান না হলে, এই অবরোধ কর্মসূচী চালিয়ে যাবেন। অবরোধ তুলে নেয়ার পর ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
এর আগে পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের প্রধান ফটকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে এসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা উঠে যান। বুধবার বেলা ১১টায় আবার এখানে এসে তারা অবরোধ করবেন বলে জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফলাফলসহ প্রকাশসহ একটি বর্ষের সব বিভাগের ফল একসঙ্গে প্রকাশ করতে হবে; ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সের সব বর্ষের ফলে গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে; সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন রাখতে হবে; প্রতিমাসে প্রতিটি বিভাগে প্রতি কলেজে দুই দিন করে মোট ১৪ দিন ঢাবি শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হবে এবং সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকাকালে তাদের পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়। হঠাৎ করে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার পর তাঁরা ভেবেছিলেন সেশনজট কমবে। একই সঙ্গে শিক্ষার মানও বাড়বে। এর কিছুই হয়নি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আরও বেশি সেশনজটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ফলাফলও তারা ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে পারছে না। ত্রুটিযুক্ত ফলাফলও তারা প্রকাশ করছে। এসবের সমাধান চান তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এর আগেও তাদের অনেক আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এর কোনো বাস্তবায়ন তাঁরা দেখেননি। তাঁর অফিসে গিয়েও অনেকবার স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে, এতে কোনো কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের অধীনে পরিচালিত যেসব সেশন শুরু হয়েছে, এতে কোন জট নেই। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালে যেসব সেশন আমাদের অধীনে দেওয়া হয়েছে, লোকবল কম থাকায় তা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে অচিরেই তা কেটে যাবে।’
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ছাত্ররা না বুঝে আন্দোলন করলেই হবে না, আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।