শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুর শহরে তার বাসভবন ‘পল্লী নিবাস’-এ দাফন করার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় জাপার উত্তরাঞ্চলের নেতারা রংপুরের দর্শনায় অবস্থিত ‘পল্লী নিবাস’-এর লিচুতলায় এরশাদের অসিয়তকৃত স্থানে কবর তৈরির আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।
এর আগে, জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগরের সভাপতি ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে দলের নেতা-কর্মীরা পল্লী নিবাসে জায়গাটি পরিদর্শন করেন। তারা এরশাদের নিজ হাতে লাগানো লিচু বাগানে কবরের মাপজোখ করেন। এরপর কোদাল হাতে কবর খোঁড়া শুরু করেন।
মেয়র মোস্তফা বলেন, এরশাদ স্যারের দাফন যে কোন মূল্যে রংপুরেই করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের শরীরের এক বিন্দু রক্ত থাকতেও রংপুর থেকে তার মরদেহ ঢাকায় নিয়ে যেতে দেব না।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় রংপুরে দলীয় কার্যালয়ে উত্তরবঙ্গ জাপার প্রতিনিধিরা এক জরুরি সভায় মিলিত হন। সভায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলা এবং দুই মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন। সভায় ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে এরশাদকে দাফনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বলা হয় জীবন বাজি রেখে হলেও পল্লী নিবাসেই নেতার দাফন সম্পন্ন করা হবে।
সভা শেষে মেয়র মোস্তফা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার মাজার খোলা জায়গায়। তিনি বলেন, জাতীয় তিন নেতার সমাধির পাশে দাফন হলে কিংবা এরশাদকে জাতীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিলে আমাদের আপত্তি থাকত না। কিন্তু এসব না করে ঢাকার একটি আবদ্ধ জায়গায় দাফনের সিদ্ধান্তটি গভীর যড়যন্ত্রের অংশ। মোস্তফা বলেন, তারা ঢাকায় খোলা স্পেসে এরশাদকে সমাহিত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জাতীয় তিন নেতার মাজারের পাশে অথবা সংসদ ভবনের পাশে আসাদ গেট এলাকায় মশিউর রহমান যাদু মিয়ার কবরের পাশে জায়গা চেয়েছিলেন তারা। ওই জায়গা সরকার দেয়নি।
যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। বক্তৃতা করেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য গাইবান্ধা জেলা সভাপতি আবদুর রশিদ সরকার, দিনাজপুর জেলা সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ, ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি আলী রাজু স্বপন, বগুড়া জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল ফারুক, লালমনিরহাট জেলা সদস্য সচিব সেকেন্দার আলী, নীলফামারী জেলা সদস্য সচিব শাহজাহান আলী, পঞ্চগড় জেলা সভাপতি আবু সালেহ, রংপুর জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুর রাজ্জাক, শাফিউল ইসলাম শাফী, সাবেক এমপি শাহানা বেগম, পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।