বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী একটা আশঙ্কা, আগামী বছর একটা মহাসংকটের বছর হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেই জন্য আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টা বেশি বিবেচনা করা দরকার। যার যার জায়গা আছে, চাষ শুরু করে দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যেটুকু বিদ্যুৎ দরকার সেটুকু দিতে পারব।
জনগণের কষ্ট যেন না হয়, সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রথমে যুক্তরাজ্য সফর করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ যখন কষ্টে থাকে, তখন কি নিজেরা শান্তিতে থাকা যায়? উন্নত দেশের মানুষরা কষ্ট পাচ্ছে। আমার দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি। কৃষি খাতে বাজেট ছাড়াও আলাদা বাজেট করেছি। আমার দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে সরকার গঠন করার পরে দেশে নানা ধরনের সংকট সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে। তবে জনগণের সমর্থন ছিল বলেই প্রতিটি সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। যখন বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছিল, বাংলাদেশে শুধু একটি ঘটনাই ঘটেছিল, তাও কিন্তু ১২ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করেছি। এরপর থেকে তেমন কোনো ঘটনা ঘটতে দেইনি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, আমরা এক বিলিয়ন রিজার্ভ, ৪৪ মিলিয়ন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করেছিলাম। তবে আমরা যখনই আসি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী, এটা আমি নিশ্চিত করতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমাদের রিজার্ভ যথেষ্ট। যদি কোনো সংকট আসে তাহলে পাঁচ মাসের খাদ্য কেনার মতো সক্ষমতা আছে কিনা সেটা দেখা হয়। আমাদের তা আছে। বাংলাদেশ কখনও ঋণখেলাপী ছিল না।
তিনি বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। যদি দেশের মাটিতে তাদের সেরকম সমর্থন থাকত বা নিজের শিকড়ে যদি জোর থাকত, তাহলে বিদেশের মাটিতে ধরনা দিত না। জনসমর্থন থাকলে, জনগণের ওপর আস্থা থাকলে বা বিশ্বাস থাকলে জনগণের কাছেই যেত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কোন মুখে জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাবে। আগুন দিয়ে পোড়ানো, মানুষ খুন করা, বোমা মারা, গ্রেনেড মারা, সবখানেই বিএনপি জড়িত। তাই তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।