সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ ছাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট।
তারা বলছে, করোনায় আক্রান্তের যে সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানে তুলে ধরা হচ্ছে, বাস্তবে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশে – বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট।
শনিবার (৬ জুন) সংস্করণের ইকোনমিস্টের ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ’।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ করোনা পরীক্ষার হার অনেক কম। ফলে বাস্তব চিত্র আরও খারাপ হতে পারে।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তিন দেশ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখের কিছু বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৯ হাজার মানুষ।
ইউরোপ বা আমেরিকার দেশগুলোর তুলনায় এই সংখ্যা বেশ কম। তবে এর বাইরেও আরও অনেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেও তারা পরীক্ষার আওতায় আসেননি। অর্থাৎ সরকারি হিসাবেও তাদের তথ্য নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি দুই সপ্তাহে এই অঞ্চলে সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। তবে ভয়ংকর সময় রয়েছে সামনে।
বেশকিছু মডেলেই অনুমান করা হয়েছে, জুলায়ের শেষ ভাগে গিয়ে হয়তো এই এলাকায় সংক্রমণ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছাবে। ওই সময় এই দেশে সরকারিভাবেও আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ হয়ে যেতে পারে। মৃত্যুও দেড় লাখ পেরিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট।
রাজধানী ঢাকায় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিতে ইকোনমিস্ট উদ্ধৃতি করেছে আইসিডিডিআর, বি’র নির্বাহী পরিচালক জন ক্লেমেনসকে।
তিনিই ধারণা করেছেন, শুধু রাজধানী ঢাকাতেই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ ছাড়িয়ে থাকতে পারে। তবে সরকারি তথ্য এর ধারেকাছেও নেই।
শুক্রবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়ছে, দেশে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৩৯১ জনের মধ্যে। এদের প্রায় অর্ধেকই ঢাকার।
লকডাউন বা সাধারণ ছুটি তুলে নেওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইকোনমিস্ট। এতে বলা হয়েছে, দেশ তিনটি গত সপ্তাহ থেকে লকডাউন তুলে নিতে শুরু করেছে। এর ফলে বিধিনিষেধ কিছুটা হলেও শিথিল হয়েছে। এ অবস্থায় তিন দেশের ১৭০ কোটি মানুষের জন্য অর্থনীতি উন্মুক্ত হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরছে।
তবে লকডাউন তুলে নেওয়ায় সংক্রমণের হার ফের উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।