মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন উজানের ঢলে প্লাবিত উত্তরের ৪ জেলা- পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ কোস্টগার্ডের নতুন মহাপরিচালক জিয়াউল হক ভাঙন আতঙ্কে তিস্তা পাড়ের মানুষ ১৯৯২: শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু কবে থেকে হিজবুল্লাহপ্রধানকে হত্যায় অভিযান চালানো হয়, জানালো ইসরায়েলের কর্মকর্তারা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সুমনের অত্যাচার-নির্যাতনে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বাংলাদেশের অপরাজনীতির নিকৃষ্ট উদাহরণ পিরোজপুরের মহারাজ-মিরাজ মাধবপুরে টোল আদায় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-১৯
ঈশ্বরদীতে ভিক্ষার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভিক্ষুক মিলনকে হত্যা করা হয়

ঈশ্বরদীতে ভিক্ষার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভিক্ষুক মিলনকে হত্যা করা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়ার রহিমপুর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধারকৃত প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের পরিচয় ও হত্যার রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ। ভিক্ষুকের নাম মিলন হোসেন (৩০)। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার কানফরদী গ্রামের আবু বক্কার মাতুব্বরের ছেলে। এ ঘটনায় এক নারীসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়ার রহিমপুর গ্রামের মানিক আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম, জাহিদুলের স্ত্রী ছামেলা খাতুন, ছেলে শাকিল এবং নিরঞ্জন নামের অপর এক ভিক্ষুক।

আজ সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদী থানা মিলনায়তন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পাবনা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, মিলন শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারত না। তাই অন্যের ভ্যান ভাড়া করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে থেকে ভিক্ষা করত। সেখানেই তার সঙ্গে হত্যাকারীদের পরিচয় হয়। সেখান থেকে ভিক্ষা করার জন্য সে হত্যাকারী জাহিদুলের সঙ্গে ঈশ্বরদীতে চলে আসে। পরে তারা চাটমোহর রেলবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ভিক্ষার কাজ শুরু করে। হত্যাকারীরা নিজেদের ভ্যানে করে প্রতিবন্ধী মিলনকে নিয়ে ভিক্ষা করত। এই জন্য প্রতি মাসে নিহত মিলনকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার শর্ত ছিল। কিন্তু দুই মাস শেষে হত্যাকারীরা তাকে মাত্র ৫ হাজার টাকা দেয়। অবশিষ্ট টাকা না দেওয়ায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে গত ২৪ জুন রাতে মিলনকে ঘুম থেকে তুলে হত্যাকারীরা পরস্পর যোগসাজসে নির্মমভাবে হত্যা করে। লাশ গোপনে পুঁতে ফেলার জন্য চাটমোহর থেকে নিজ বাড়ি ঈশ্বরদীর আওতাপাড়ার রহিমপুরে এনে গ্রামবাসীর নিকট ধরা পড়ে জাহিদুলসহ অন্যরা।

এ সময় ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, ওসি (তদন্ত) হাদিউল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com