রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় সদ্য সমাপ্ত পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের আবারও ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো। এমনই আভাস মিলছে চারিদিকে। যদিও পূর্ণাঙ্গ ফলাফল আসতে এখনো অনেক দেরি। কিন্তু সোমবার অনুষ্ঠিত ৪৪তম সাধারণ নির্বাচনে তুমুল লড়াইয়ের ফলে সংসদে হয়তোবা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না তার দল।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে জাস্টিন ট্রুডোকে। এবার মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল তাণ্ডবের মাঝেই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুই বছর আগেই আগাম নির্বাচন ডাক দিয়েছিলেন ট্রুডো।
যদিও কানাডার সাধারণ মানুষ এতে খুব একটা সন্তুষ্ট নয়। ফলে ৪৯ বছর বয়সী ট্রুডোর সামনে সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ট্রুডোর লিবারেল পার্টির সদস্যরা এখন মনে করছেন, কানাডার হাউজ অব কমন্সে ৩৩৮টি আসনের বিপরীতে বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত আগস্টে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে জাস্টিন ট্রুডো এগিয়ে ছিলেন। জনমত জরিপে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান ভীষণই সামান্য। ফলে কেউ কেউ আবার বিরোধী নেতা এরিন ওটুলের কনজারভেটিভ পার্টির জয়ের সম্ভাবনাও দেখছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, আঞ্চলিক ফলাফলের প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে চার রাজ্যের ৩২টি আসনের মধ্যে ২৩টিতে এগিয়ে রয়েছে লিবারেলরা। এর আগে যেখানে ২৭টি আসন পেয়েছিল ট্রুডোর দল। অপর দিকে বিরোধী নেতা এরিন ওটুলের রক্ষণশীল দল নয়টিতে এগিয়ে রয়েছে।
পার্লামেন্টের ৩৩৮টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই কোটি ৭০ লাখের বেশি। এখানে এককভাবে সরকার গঠনে যে কোনো দলকে কমপক্ষে ১৭০টি আসনে জয় পেতে হবে।
সংখ্যালঘু সরকারের প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এবার একক সরকার গঠন করতে পারবেন কি-না; নাকি আসন হারিয়ে পার্লামেন্টে বিরোধীদের শক্তিশালী হয়ে ওঠার সুযোগ দেবেন, এখন সেই শঙ্কাই সকলের সামনে দেখা দিয়েছে।
লিবারেল পার্টির সাবেক উপদেষ্টা স্কট রিড মনে করেন, আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত হয়ে গেছে, যার ফলে কানাডাজুড়ে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার ফলে পরিবর্তন আসতে পারে।
উল্লেখ্য, এবারের ভোটে মহামারি করোনা ভাইরাস ছাড়াও দেশের আবাসন, অর্থনীতি, জলবায়ু সংকট, স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও ভোটারদের মনে দাগ কেটেছে। যদিও জাস্টিন ট্রুডো আবার ক্ষমতায় ফিরলে কতটুকু স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবেন, এবার সেই শঙ্কা জনমনে থেকেই যাচ্ছে।