রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি মসজিদের বাইরে শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ রোববার (০৩ অক্টোবর) কাবুলের ঈদগাহ মসজিদের প্রবেশপথের কাছে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদর মায়ের জন্য আয়োজিত শোক অনুষ্ঠানে এই বিস্ফোরণ ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার ব্যাপারে কোনও গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।
আব্দুল্লাহ নামে স্থানীয় এক দোকানী বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, আমি ঈদগাহ মসজিদের কাছে গুলির পর বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। বিস্ফোরণের কয়েক মুহূর্ত আগে তালেবান মসজিদের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো দল বা গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে তালেবান কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর থেকে তাদের লক্ষ্য করে আইএসের হামলা বেশ বেড়েছে। এতে ভবিষ্যতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আরও বড় সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাজধানী কাবুলের দু’টি স্থানে এএফপির সাংবাদিকরা বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিস্ফোরণস্থল থেকে আহতদের উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে কাবুলের শাহর-ই নাও এলাকার এমারজেন্সি হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
টুইটারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা অন্তত আহত চারজনকে চিকিৎসা দিয়েছে। চিকিৎসা কর্মীদের হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখেছেন এএফপির সাংবাদিকরা। তারা রক্তমাখা কাপড়ে লোকজনকে হাসপাতালে আসতে দেখেছেন।
গত আগস্টের মাঝের দিকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের দখলে যাওয়ার পর থেকে দেশটিতে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দেশটিতে তালেবান এবং আইএসের ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় অনুসারী ইসলামিক স্টেট খোরাশান প্রভিন্সের (আইএসকেপি) শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। আইএসকেপিকে প্রধান শত্রু বলে মনে করে দেশটির নতুন ক্ষমতাসীন কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠী তালেবান। তালেবানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি হামলা চালানোর দাবি করেছে আইএসকেপি। প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা।
সূত্র: এএফপি, আল জাজিরা।