রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্তের পর বাড়তি সতর্কতা জারি এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার পদক্ষেপ নিয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কয়েকবার রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়া ভাইরাসটির এ ধরন টিকা প্রতিরোধী। অর্থাৎ ভাইরাসের এ ধরনের ক্ষেত্রে করোনা টিকা কার্যকর নাও হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব ভালোভাবে বুঝতে আরো কয়কে সপ্তাহ সময় লাগবে। এটি কতটা সংক্রামক, তা নির্ধারণ করতে বৈজ্ঞানিকরা এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যের একজন শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সতর্ক করেছেন যে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন ‘প্রায় নিশ্চিতভাবে’ কম কার্যকর হবে।
তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট জেমস নেইস্মিথ মন্তব্য করেছেন, ‘এটি খারাপ খবর বটে, কিন্তু এটিই পৃথিবীর শেষ নয়।’
তার মতে, এই ভ্যারিয়েন্টের মিউটেশনগুলো দেখে মনে হতে পারে যে এগুলো হয়তো দ্রুত ছড়ায় – কিন্তু এর সংক্রমণের সক্ষমতা বেশি, তা হয়তো এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব না।
প্রফেসর নেইস্মিথ মনে করেন, এই ভ্যারিয়েন্টের যদি দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা থাকত, তা হলে এতদিনে এটি যুক্তরাজ্যে নিশ্চিতভাবে প্রবেশ করত।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান অ্যান্থনি ফাউচি মন্তব্য করেছেন যে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে পাওয়া রিপোর্ট এটি সম্পর্কে সতর্ক করলেও তীব্র মাত্রায় অসুস্থতা ঠেকাতে ভ্যাকসিন কার্যকর হতে পারে।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাউচি বলেন, ‘যথাযথভাবে পরীক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারবো না এটি ভাইরাসবিরোধী অ্যান্টিবডিকে পাশ কাটাতে পারে কিনা।’
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে অনেক দেশ
যেসব দেশ তাড়াহুড়া করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাদের ‘ঝুঁকি যাচাই ভিত্তিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে’ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো, এবং সুইজারল্যান্ডও দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু দেশ থেকে সাময়িকভাবে ফ্লাইট বন্ধ করেছে।
ইউরোপিয়ান কমিশন প্রধান আরসালা ফর ডার লেয়েন বলেছেন, ‘পুরো ইউরোপের দ্রুততার সাথে এবং একত্রিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি।’