রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের আজ রবিবার ১১তম দিন। সময় যত গড়াচ্ছে লড়াই আরও তীব্র হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক মার্কিনি প্রস্তুত। রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনেীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশটিতে যান এসব স্বেচ্ছাসেবক।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ইউক্রেনের দূতাবাসের এক প্রতিনিধি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে এই তথ্য জানান বলে রবিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক সামরিক অভিযান গড়িয়েছে একাদশ দিনে। রুশ সামরিক বাহিনীর ব্যাপক হামলার মুখে অনেকটাই বিপর্যস্ত পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি। এই পরিস্থিতিতে অভিযান শুরুর কয়েকদিনের মাথায় ইউক্রেনের হয়ে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে ইচ্ছুক বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের দেশটিতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমনকি এসব স্বেচ্ছাসেবক ভিসা ছাড়াই দেশটিতে ঢুকতে পারবেন বলেও জানিয়েছিল কিয়েভ।
এ ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনে সেনা না পাঠালেও সহায়তা করতে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর পাশাপাশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ রুশ ধনকুবের ও অন্য নেতাদের বিরুদ্ধেও একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে তারা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ঊর্ধ্বতন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের একটি ‘আন্তর্জাতিক সৈন্যদল’ গঠন করতে ইতোমধ্যেই আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ছাড়া কয়েকদিন আগে, জেলেনস্কি বলেছিলেন, প্রায় ১৬ হাজার বিদেশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বিভিন্ন দেশ থেকে ৬৬ হাজার ২২৪ জন ইউক্রেনীয় নাগরিক ফিরে এসেছেন। অনলাইনে একটি পোস্টে রেজনিকভ বলেন, বিদেশ থেকে আমাদের মানুষেরা ফিরে আসছেন। তারা নিজেদের দেশকে রক্ষায় লড়াই করবেন। এই মানুষদের নিয়ে ১২টি লড়াইয়ের ব্রিগেড তৈরি হবে।
খবর বিবিসি