শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসের জন্য তৈরি হওয়া, প্রেজেন্টেশনের ফাইল ঠিক মতো গুছানো, অফিসে গিয়ে হাড় ভাঙা খাটুনি অথবা সন্তানের স্কুলের টিফিন তৈরি করা বা দুপুরের খাবারের মেনু নিয়ে চিন্তা—এসব কাজের চাপে অনেকেরই হয়তো নিজেকে সময় দেওয়াই হয়ে উঠে না। ফলাফল, দিনশেষে ক্লান্তি ও অবসাদ। অনেকে তো সারাক্ষণই ক্লান্তিবোধে ভোগেন। এই অবসাদ থেকে যায় মাসের পর মাস।
কাজ তো করতেই হবে। আর সেটা সুস্থ থেকেই। তাই ক্লান্তিকে জানান চিরবিদায়। সবসময় ক্লান্তিবোধ কমানোর কিছু উপায় বাতলেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। আসুন জানি সেগুলো।
পর্যাপ্ত ঘুম
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষের দৈনিক অন্তত সাত- থেকে আট ঘণ্টা একটি ভালো ঘুম জরুরি। ঘুম দেহকে চাঙা রাখতে এবং পরের দিনের কাজকে সঠিকভাবে করতে সাহায্য করে। তাই যাই করুন না কেন, ঘুমকে অবহেলা নয়।
একা থাকুন
প্রতিদিন ১৫ মিনিট হলেও নিজেকে সময় দিন। একা থাকুন। এ সময় সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন। নিজের সঙ্গে পজিটিভ বা ইতিবাচক কথা বলুন। জীবনকে পর্যবেক্ষণ করুন আপন শক্তিতে।
মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ দেহ ও মনকে দীর্ঘমেয়াদে অবসাদগ্রস্ত করে তোলে। তাই এটি কমানো জরুরি। মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান করতে পারেন। এ ছাড়া পছন্দের কাজ (যেমন : গান শোনা, বই পড়া, বেড়ানো, রান্না করা ইত্যাদি) করুন। আসলে, মানসিক চাপ তো থাকবেই। তবে একে নিয়ন্ত্রণেও রাখতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
অবসাদ, ক্লান্তি কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। খাদ্যতালিকায় বেশি করে সবজি ও ফল রাখুন। তবে প্রোটিনের কথা ভুললেও চলবে না। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাছ, মুরগীর মাংস, ডাল ইত্যাদি রাখুন। এড়িয়ে চলুন, মদ্যপান, ধূমপান, লাল মাংস (গরু, খাসি) ইত্যাদি।
ব্যায়াম
যারা সবসময় ক্লান্তিতে ভোগেন ব্যায়াম তাদের জন্য অনন্য সমাধান। এটি রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেহকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। ভারি ব্যায়াম করতে না পারলেও প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটুন। এটিও শরীরের বিষাদভাব কমাতে কাজে দেবে।