শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ট্রেনের টিকিট বিক্রি শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। তবে গতকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকেই কমলাপুর স্টেশনে লাইন দীর্ঘ করতে থাকেন টিকিট প্রত্যাশীরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। যানজট এড়িয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতেই শুরু হয়েছে ট্রেনের টিকিট পাওয়ার এ লড়াই।
করোনা জটিলতার দু’বছর পর প্রিয়জনের সঙ্গে হবে ঈদ। তাই বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। জনসমুদ্র পার হয়ে লক্ষ্য একটাই, চাই স্বপ্নের সোনার হরিণ ট্রেনের আগাম টিকিট।
আবার নতুন পদ্ধতিতে অনলাইনে টিকিট কেনার পরও যাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ফটোকপি কিংবা মূলকপি দেখিয়ে মূল টিকিট নিতে হবে।
এই কারণে অনেকে অনলাইনে টিকিট কেনার পরও মূল টিকিট নিতে কাউন্টারে এসেছেন। ফলে কমলাপুর রেলস্টেশনে গতকাল উপচে পড়া ভিড় ছিল। তবে আজ সব চাপ কমলাপুরে পড়বে না। কমলাপুরসহ রাজধানীর আরো চার স্টেশনে ঈদ যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে।
ছয় ঘণ্টায় ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি
রেলওয়ের টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাপনার নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকম থেকে জানানো হয়, গতকাল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫০ হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ২০ হাজারের মতো টিকিট। বাকি ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে দেশের ৭৭টি রেলস্টেশনের কাউন্টারে।
ঈদে চলবে ছয় জোড়া বিশেষ রেল
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। সেগুলো হলো চাঁদপুর স্পেশাল-১, চাঁদপুর স্পেশাল-২, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, খুলনা স্পেশাল, শোলাকিয়া স্পেশাল-১ ও শোলাকিয়া স্পেশাল-২।
যা কিছু মনে রাখতে হবে
রেলের টিকিট কিনতে দেখাতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। যাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাঁরা জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকিট কিনতে পারবেন। তবে শুধু ঈদকেন্দ্রিক নয়। এখন থেকে ট্রেনের টিকিট কিনতে পরিচয়পত্র দেখানোর নিয়ম ফিরিয়ে এনেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ এই স্লোগানে যাত্রীদের এনআইডি/জন্ম সনদ ফটোকপি কাউন্টারে দেখিয়ে টিকিট কেনা যাবে। একজনকে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট দেওয়া হবে। ঈদের অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। এবার প্রথমবারের মতো প্রতিটি আন্ত নগর ট্রেনে শুধু নারী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি করে আলাদা কোচ সংযোজন করা হবে।