মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকায় দুঃসহ যানজট নিত্যদিনের চিত্র। কিন্তু চিরচেনা ঢাকা এখন ফাঁকা। শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে নেই লোকজন। চলছে না গণপরিবহন। নেই কোলাহল, নেই যানজট। ১-২ ঘণ্টার পথ এখন মাত্র ১০-১৫ মিনিটেই যাওয়া যাচ্ছে।
ইদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানী ছেড়ে গেছে অর্ধেকের বেশি মানুষ। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে গত বুধবার থেকেই মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। রবিবার এসে রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। গেল চার দিনে ৭০ লাখের বেশি মানুষ রাজধানী ছেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে এখন আর ব্যস্ততা নেই। শাহবাগ, পল্টন, সচিবালয়, কাকরাইল, মৎস্যভবন ও হাইকোর্ট এলাকার রাস্তাগুলো এখন ফাঁকা। মাঝে মধ্যে কয়েকটি ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন দেখা গেলেও যানজটের কোনো চিহ্ন নেই।
এদিকে, গণ-পরিবহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় রাস্তায় এখন সিএনজি ও রিকশার রাজত্ব। শেষ মুহূর্তে এসে যারা বাড়ি যাচ্ছেন, তারা এসব যানবাহনে করে লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে এবং রেলওয়ে স্টেশনে যাচ্ছেন।
রাস্তা ফাঁকা ও গণপরিবহন কম থাকার পাশাপাশি যানজট না থাকায় রিকশা ও সিএনজিচালকদের আয় ভালো হচ্ছে। যাতায়াত করে রিকশা ও সিএনজিতে। আমরা বাড়তি কিছু টাকা আয় করার আশায় রয়ে গেছি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী গত চার দিনে ৭৩ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। মোবাইল ফোনের সিমের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে তিনি এ হিসাব দিয়েছেন।
এদিকে শুধু রাজধানীর রাজপথ নয় অলি-গলিতেও ঈদের ছুটির আমেজ দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলির ছোট মুদির দোকান ও চায়ের দোকানগুলোতেও নেই চিরচেনা আড্ডা। ফাঁকা অলিগলিতে ঘণ্টাখানেক পর পর ১-২ জন স্থানীয় লোকজনকে দেখা যায়, যারা খুব জরুরি কাজে বের হন।
ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন থানার সদস্যরা রাস্তায় নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং আবাসিক এলাকাগুলোর সামনে সকাল থেকে পুলিশের টহল দেখা গেছে।