বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রাজিলের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
দেশটির পার্নামবুকো ও আলাগোসের প্রধান দুই শহরে গত কয়দিনে টানা বৃষ্টিপাত আর বন্যায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার সরকারিভাবে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্যাকবলিত রেসিফ শহরে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ব্রাজিলের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ টুইট বার্তায় জানায়, পার্নাম্বুকো রাজ্যের ৭৬০ জন মানুষকে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
রাজ্য সিভিল ডিফেন্সের নির্বাহী সচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল লিওনার্দো রদ্রিগেস ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে জানান, রাজ্যে প্রায় ৩২ হাজার পরিবার ভূমিধস বা বন্যার ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় বসবাস করছে।
রেসিফ শহরের স্কুলগুলো বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের আশ্রয়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলের আরেক রাজ্য আলাগোয়াসে শুক্রবার নদীর পানি উপচে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে গিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির প্রভাবের কারণে আলাগোয়াসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩৩টি পৌর এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়- বন্যায় বহু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও স্থাপনা পানিতে ডুবে গেছে। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঘটেছে ভূমিধসের ঘটনাও।
পার্নাম্বুকো ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট এজেন্সি জানিয়েছে, রাজ্যে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।
এ নিয়ে গত পাঁচ মাসে দেশটিতে চার বার বড় ধরনের বন্যা দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন বন্যার কারণে ব্রাজিলের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্থাপিত শহরগুলোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গেল ডিসেম্বরের শেষ এবং জানুয়ারির শুরুর দিকে ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিয়া রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়। বাস্তুচ্যুত হয় ১০ হাজার মানুষ।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।