শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: ভারতে যৌন নির্যাতনের এক মামলায় নির্যাতিতার পোশাক নিয়ে মন্তব্য করায় দায়রা আদালত থেকে শ্রম আদালতের প্রিজাইডিং অফিসার করে বদলি করা হয়েছিল বিচারককে। এবার সেই বিচারক দ্বারস্থ হলেন কেরালা হাইকোর্টে। বিচারক কৃষ্ণকুমারের দাবি, নিয়ম মেনে তার বদলি হয়নি।
কিছু দিন আগে চন্দ্রণ নামে একজন লেখক এবং সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের দু’টি মামলার শুনানি করেন কেরালার কোঝিকোড়ের আদালতের বিচারক কৃষ্ণকুমার।
সেখানে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার পাশাপাশি তার একটি মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দেয়। যৌন নির্যাতনের মামলায় অভিযোগকারী নারীর পোশাককে দায়ী করেন বিচারক।
তার পর্যবেক্ষণ ছিল, অভিযুক্ত একজন সমাজসেবী এবং জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তিনি কোনো তফসিলি নারীকে খারাপভাবে স্পর্শ করবেন, এটা বিশ্বাস করা যায় না।
এর পর ওই একই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অন্য একটি যৌন হেনস্থা মামলায় তার অন্য একটি পর্যবেক্ষণ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। গত ১২ আগস্টের পর ওই শুনানিতে তিনি বলেন, অভিযোগকারী নারী নিজেই যৌন উত্তেজক পোশাক পরেছিলেন এবং এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব যে, ৭৪ বছর বয়সী বৃদ্ধ, যিনি শারীরিকভাবে অক্ষমও বটে, তিনি এ রকম কোনো কাজ করতে পারেন।
বিচারক কৃষ্ণকুমারের এই মন্তব্যের পর তাকে বদলি করে দেওয়া হয়। এবার হাই কোর্টে তার দাবি, বেআইনিভাবে তাকে বদলি করা হয়েছে। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ডেপুটেশন পোস্টে রয়েছেন। তাই তাকে বদলি করতে হলে তারও সম্মতি নিতে হতো। কিন্তু তার বদলির সময় এমন কোনো কিছুই হয়নি।
সূত্র: আনন্দবাজার