শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
রবিউল হক (কুয়েত প্রতিনিধি): বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কুয়েত শাখা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রবাসীদের নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ৫১তম মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করে। অনুষ্ঠানের প্রথম শুরুতে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সংগঠনের সদস্য এবং প্রবাসীদের উপস্থিতিতে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় কুয়েত মাহাবুল্লাহ এলাকায় ফুটবল মাঠে প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কুয়েত শাখা।
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কুয়েত শাখার সভাপতি কাওছার সিকদার এর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – বাংলাদেশ প্রবাসী ফুটবল ফেডারেশন কুয়েত এর সভাপতি জাহিদুর রহমান জাহেদ ও কুয়েত শাখার সিনিয়র সদস্য ইউনুস মাহমুদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমেটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রধান উপদেষ্টা প্রবাসী ফুটবল একাডেমি কুয়েত রবিউল হক।
কুয়েত শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ফাইনাল খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ প্রবাসী একাডেমি কুয়েত বনাম বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কুয়েত । বাংলাদেশ প্রবাসী একাডেমি ক্লাব ৩ গোল করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, আসাদুজ্জামান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, কুয়েত শাখার সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, আনারুল হক, আব্দুল আলী, শহিদুল ইসলাম, আক্তার হোসেন, আমিন নয়ন, সাইফুল ইসলাম, আবির, সহ কুয়েত শাখার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সমাপনী বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক বলেন — প্রবাসে বিজয়ের উল্লাস মরুর বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ মনে হচ্ছে আজ।
আমি সর্বপ্রথম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রবাস থেকেও বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কুয়েত শাখা প্রবাসীদের নিয়ে খেলাধুলার আয়োজন করেছে, সংগঠনটি প্রবাসে এবং বাংলাদেশে মানবিক কাজে জড়িত। সেইসাথে অধিকার বঞ্চিত প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে কথা বলে। সংগঠনের সকল সদস্যদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রবাসে এত ব্যস্ত থাকার পরেও সংগঠনকে ভালোবেসে সংগঠনের প্রতিটা কার্যক্রমে আপনারা যুক্ত থাকেন। প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে দূতাবাস এবং সরকারের আন্তরিকতা প্রয়োজন তাহলে এই প্রবাসীদের অনেক সমস্যার সমাধান ঘটবে এ দাবি জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।