শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃনারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী ইউনিক গ্রুপ নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান কৃষকদের কয়েক শত একর ফসলী জমি ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে না দিয়ে ৮-১০ পুর্বে জোর পুর্বক বালু ভরাট করে। ১৬ অক্টোবর সকালে কোম্পানির লোকজন বালু ভরাটকৃত কৃষকদের জমিতে স্থাপনার কাজ করতে আসলে আশেপাশের কয়েকশত কৃষক ও গ্রামবাসী বাধা দিলে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসীরা তাদের জমি রক্ষার জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করে।এসময় গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহন করে।মানববন্ধনে কৃষক, গ্রামবাসী ও বিক্ষোভকারীরা বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইউনিক গ্রুপ সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর, রতনপুর, ভবনাথপুর, জৈনপুর ও কান্দারগাঁওসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক শত একর কৃষি জমিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের একটি প্রভাবশালী মহল গত কয়েকদিন ধরে জোড়পূর্বক বালু ভরাট করছে।শিল্প প্রতিষ্ঠানের হাত থেকে ফসলী জমি রক্ষা ও অবৈধ ভাবে জোড়পূর্বক বালু ভরাটের প্রতিবাদে১০ গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে। তারা জানান, শত শত কৃষকের বেচে থাকার এক মাত্র অবলম্বন তাদের ফসলী জমি। ভূমি দস্যুরা এভাবে জোড়পূর্বক ভরাট করতে থাকলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির আগ্রাসন থেকে কৃষি জমি রক্ষা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।মালিক পক্ষের সঙ্গে জড়িত সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাঃ সম্পাদক নেকবর হোসেন নাহিদ বলেন, যারা মানববন্ধন করছে তারাই কৃষিজমি থাকা কালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজশ করে বালু ভরাট করেছে, এখন অন্যের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। আজকের এই মানববন্ধন উদ্দেশ্য প্রনোদিত, কৃষিজমি রক্ষার বিষয়ে তারা আসেনি। আনুমানিক ১০ বছর পূর্বে যখন এই এলাকায় বালু ভরাট করা হয় তখন আজকের এই মানববন্ধন কারীরা বাধা দেয়নি উল্টো প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করেছে। তাছাড়া আজ কোনো জমি ভরাটের উদ্দেশ্যে কেউ কাজ করেনি, বহু পূর্বে ভরাটকৃত বালুর মাঠ থেকে কাশবন কাটার জন্য মালিকপক্ষ শ্রমিক পাঠিয়েছেন, আমরা সেই কাজের পরিচালনা করছি।মানববন্ধনের এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।