শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নেত্রকোনায় স্ত্রীকে হত্যার পর রশিতে ঝুলে স্বামীর আত্মহত্যা কুমিল্লা ইপিজেড মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে চলছে অফিসের কার্যক্রম আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা: ৯ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে” ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: ডিএমপি মির্জাপুরে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী আটক কেরানীগঞ্জে রাজাবাড়ী এলাকার প্রধান সড়কে ময়লার স্তূপ, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী শেরপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে একজনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড বিয়ের ৩০ বছর পর একসঙ্গে দাখিল পাস করলেন স্বামী-স্ত্রী পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার কাছে একাধিক গাড়ির ভয়াবহ সংঘর্ষ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২৫ কোটি টাকার অগ্নি বীমা দাবির চেক হস্তান্তর
মির্জা ফখরুলকে আটকের বর্ণনা দিলেন স্ত্রী

মির্জা ফখরুলকে আটকের বর্ণনা দিলেন স্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় এসে ফখরুলসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যায়। এর ১০ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির মহাসচিব খুব অসুস্থ, তার চিকিৎসা চলছিল। এভাবে নিয়ে যাবে মেনে নিতে পারছি না। তাকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসা ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একইসঙ্গে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঘিরে রাখা হয়েছে। কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।

এর আগে, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু করে বিএনপির। তবে, তার আগেই রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। কিন্তু সংঘর্ষটি বিস্তৃত হয়ে বিএনপির সমাবেশের কাছে চলে আসে এবং এক পর্যায়ে সমাবেশের কাছে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির সমাবেশের মাইকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। পরে নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এরপর রাতেই জনসাধারণের নিরাপত্তায় রাজধানীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com