রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি কেজি স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিপদজনক কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। দুইদিন ধরে ঘটনার একটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। কোমলমতি শিশুদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানোয় অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। এনিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সমালোচনা চলছে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
জানা গেছে, জেলা শহরের ভাদুঘরে বাজার রোডে ফাটাপুকুর রেলগেইট সংলগ্ন প্রফেসী কিন্ডার গার্টেন অবস্থিত। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু আছেম আল আরিফ মোল্লার বিরুদ্ধে উঠেছে শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানোর অভিযোগ। সর্বশেষ গতকাল বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের সামনে রড সিমেন্টের ঢালাইয়ের তৈরি করা প্রায় ৪০ কেজি ওজনের একটি বেঞ্চের পাটাতন চার শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে বহন করিয়ে নিয়ে যান প্রধান শিক্ষক। এসময় তাদের সাথে প্রধান শিক্ষক থাকলেও তিনি তা বহণে শিশু শিক্ষার্থীদের বহণে সহায়তা করেনি। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গতকাল থেকে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে চলছে সমালোচনা।
সামনে বার্ষিক পরীক্ষা এবং এ বিষয়ে মন্তব্য করলে সন্তান প্রধান শিক্ষকের প্রতিহিংসার শিকার হতে পারে উল্লেখ করে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোস্তফা সাইফুল বলেন, আমরাও স্কুলে পড়ার সময় স্যারদের কাজ করে দিয়েছি। কিন্তু কখনো ঝুঁকিপূর্ণ কোন কাজ উনারা করাতেন না। এত বড় প্রায় ৪০কেজি ওজনের একটি পাটাতন আমাদের প্রাপ্ত বয়স্করা নিয়ে যাওয়া ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ উনার মতো একজন শিক্ষিত মানুষ কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার্থীদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ন কাজটি করালেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক আবু আছেম আল আরিফ মোল্লার মুঠোফোনে (০১৭৮০৭৭৪৪২৬ ও ০১৯১০-৮২৭০৭৮) একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান বলেন, এধরণের কাজ শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো ঠিক নয়। তবে এই বিদ্যালয় গুলো নিজেরাই পরিচালনা করে আসছে, আমাদের করার কিছু থাকে না। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এই বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি। এই ধরনের কাজ শিক্ষার্থীদের করানো মুটেও কাম্য নয়। এসব কাজ শ্রমিক দিয়ে করাবেন। বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম শেখ এই বিষয়ে বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। অবশ্যই এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’