শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ঘিরে ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ঢাকার থানাগুলো পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। এরপর শুধু থানা নয়, পুলিশের সব ইউনিটই ফাঁকা হয়ে যায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় মানুষের মধ্যে।
টানা তিনদিন পর আজ থেকে নিজ নিজ ইউনিটের দায়িত্বে ফিরছে পুলিশ।
পুলিশ সদরদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে সব ইউনিটের সদস্যকে কাজে যোগদান করতে হবে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স, পিওএম, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএনস), সব মেট্রোপলিটন এবং জেলা পুলিশ লাইন্স, অন্যান্য পুলিশ স্থাপনাসহ বিশেষায়িত সব পুলিশ ইউনিটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ফোর্সের শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড পুনরুদ্ধার এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিওএম, এপিবিএন, সব মেট্রোপলিটন এবং জেলা পুলিশ লাইন্স, সব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, বিশেষায়িত সব পুলিশ ইউনিটের সব অফিসার এবং ফোর্সকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে সব মেট্রোপলিটন, জেলা, নৌ, রেলওয়ে ও হাইওয়ে থানার অফিসার ও ফোর্সকে স্ব স্ব ইউনিটের পুলিশ লাইন্সে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অপারেশনস কন্ট্রোল রুম সক্রিয় করা, দায়িত্ব বণ্টন করা এবং সারাদেশের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফোর্সের মনোবল বৃদ্ধি এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের দাফন/সৎকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
সরকার পতনের পর সোমবার বিকেল থেকে দেশের অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।