মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী শনিবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন।
এতে ফিলিস্তিন, মসজিদুল আকসা ও রোহিঙ্গা ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলমও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্যালেস্টাইন ও আল-কুদসের জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং অধিকারের বিষয়টি আলোচনায় বরাবরের মতোই গুরুত্ব পাবে। রোহিঙ্গা সংকট ঢাকা সম্মেলনে বিশেষভাবে স্থান পাবে এবং বিষয়টি একটি বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা করা হবে।
এ ছাড়া আগ্রহী দেশ ও প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার প্রতিনিধিদের শুক্রবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হবে বলে তিনি জানান।
‘টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নে ইসলামিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এতে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০ মন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রীসহ ওআইসির সব সদস্য রাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র, ওআইসি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানসহ সাড়ে ৫০০ প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী এক বছর ওআইসির কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার্স-সিএমএফের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে।
এ সম্মেলনের গুরুত্ব তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের বেশ কিছু দেশ শান্তি, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় হুমকি, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মুসলিম রাষ্ট্রে বাইরের হস্তক্ষেপ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, ‘ইসলামোফোবিয়া’ ও মানবিক বিপর্যয়সহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সংস্থাটির সম্মিলিত উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বার্ষিক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু ওআইসিতেই নয়, সারাবিশ্বেই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণ, স্বার্থ সংরক্ষণ ও বিশ্বপরিমণ্ডলে স্বীয় কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও সুসংহত করা সম্ভব হবে।
এ ছাড়া মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা বাড়বে এবং দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক ও সুদূরপ্রসারী ফল বয়ে আনবে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।