ডেস্ক নিউজ: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাত বার্ষিকী (আজ) বুধবার। দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গত ২৫ মে থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চলবে, আগামী ৫ জুন পর্যন্ত।
গত ১৭ মে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ, বুধবার কালো ব্যাজ ধারণ এবং সংবাদপত্র ও অনলাইন পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
এছাড়া মঙ্গলবার বিএনপির উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে বুধবার সকাল ৬ টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করন এবং কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০ টায় মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, মাজার জিয়ারত ও সমাধিস্থলে ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল।
‘শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষণের প্রতিটি থানায় দুস্থদের মাঝে কাপড় ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা ছাড়াও বিভাগীয় শহরে জিয়া পাঠাগার স্মৃতির উদ্যোগে বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
‘জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এবং বাকি দিনগুলোতে অঙ্গ-সংগঠনগুলো কর্মসূচি গ্রহণ। সেগুলো আপনাদের পরবর্তীতে জানানো হবে।’
বগুড়ার গাবতলীর নিভৃত পল্লী বাগবাড়ীতে ১৯৩৬ সালে কমল নামে যে শিশুর জন্ম হয়েছিলে তিনিই জিয়াউর রহমান। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা দেন স্বাধীনতার।
সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মেজর জিয়া নিজেও ছিলেন সম্মুখসমরে। বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার মিলিত বিপ্লব তাকে নিয়ে আসে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে। ১৯৭৭ সালের এর ২১ এপ্রিল হন রাষ্ট্রপতি।তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০শে মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন।