সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে সাত বছর বয়সী প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা বোয়ালমারী থানায় একই গ্রামের ওলিয়ার শেখের ছেলে ও মাদরাসা ছাত্র আব্বাস শেখকে (১৬) একমাত্র আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওইদিন রাত দুইটার দিকে আসামি আব্বাস শেখকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন সন্ধ্যায় ইছাখালী গ্রামে ওলিয়ার শেখের মাদরাসা পড়ুয়া ছেলে আব্বাস প্রতিবেশী ওই শিশুকে কৌশলে ডেকে বাড়ির পাশে ইউনুস শেখের তিল ক্ষেতে নিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই শিশু রক্তাত্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে তার মা বাবাকে ঘটনাটি জানায়। আহত অবস্থায় ওই শিশুকে প্রথমে বোয়ালমারী হাসপাতাল রোডে স্থানীয় চিকিৎসক ডা. নূর ইসলামের চেম্বারে নিয়ে গিয়ে গোপনাঙ্গে কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়। পরে বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। বর্তমানে ওই শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘটনার পরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল অর্থের বিনিময় ঘটনা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিল।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহীদুল ইসলাম আজ শনিবার দুপুরে জানান, ওই শিশুর ক্ষতস্থানে ৯টি সেলাই লেগেছে। শিশুর অভিভাবক চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তারা থানায় অভিযোগে দিতে বিলম্ব করেছে।
তবে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আদালতের নির্দেশে আব্বাস শেখকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।