ডেস্ক নিউজঃ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর)। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের আগে এর নাম ছিল ইপিআর অর্থাৎ ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল্স। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এর নাম হয় ‘বাংলাদেশ রাইফেলস।’
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানা সদর দফতরে বিডিআরের কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল জওয়ান সংঘটিত করে ইতিহাসের বিভীষিকাময় নারকীয় হত্যাকাণ্ড। কিন্তু বিডিআর আইনে দোষীদের নগণ্য শাস্তির বিধান থাকায় আইন পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দু’শ ২৩ বছরের একটি ঐতিহ্যবাহী আধাসামরিকবাহিনী।
মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর অবিস্মরণীয় অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফসহ এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বিজিবিকে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’ পাস হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজিবির নতুন সাংগঠনিক কাঠামো ও জনবলের প্রাধিকার বৃদ্ধিসহ পদবি কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বাহিনীর কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য ৫টি রিজিয়ন সৃজনের মাধ্যমে কমান্ড স্তর বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
বিজিবির সার্বিক কল্যাণে বিজিবি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন এবং ‘সীমান্ত ব্যাংক’ স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ যাবত ৩৮৪ জন নারী সৈনিকসহ ২৬ হাজারের অধিক জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন ৪টি সেক্টর ও ১৭টি ব্যাটেলিয়ন সৃজন করা হয়েছে। সর্বনিম্ন পদ থেকে সুবেদার মেজর পর্যন্ত সদস্যদের সীমান্ত ভাতা প্রদান, অগ্রিম বেতনসহ দু’মাসের ছুটি ভোগের সুবিধা, রেশন, চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।