মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: ঢাকায় ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গতকাল বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়। এর আগে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে ছিলেন সম্রাট ও আরমান। অস্ত্র ও মাদক মামলায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট বলেন, অনেকেই আমাকে আজকের সম্রাট বানিয়েছেন। তারা আজ কোথায়? আসছেন না কেন? আমার দলীয় অবস্থান ধরে রাখতে তাদের অনেকের আর্থিকসহ বিভিন্ন চাহিদা মিটাতে গিয়ে আজকে আমার এই পরিণতি।
জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট বলেন, ক্যাসিনোর টাকার ভাগ তো অনেকেই পেয়েছেন। শুধু তাকে কেন দায়ী করা হচ্ছে? তাকে শুধু গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের কেন নয়? এদিকে সম্রাটের মামলা দুটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলা তদন্ত করছে র্যাব। মঙ্গলবার রাতে মামলা দুটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন।
বৃহস্পতিবার তাকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রিমান্ড মঞ্জুরের পর সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে প্রথমে ডিবি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়—ক্যাসিনো বাণিজ্য, অবৈধ মার্কেট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দোকান, ফুটপাত, মাদক ব্যবসার কমিশনসহ বিভিন্ন খাত থেকে উপার্জিত টাকা কোথায় রাখা হয়েছে? দল ও দলের বাইরে আড়ালে থেকে এসব অপকর্মে কারা সহযোগিতা করতেন?
কাকরাইলে ভুঁইয়া ম্যানশন দখল এবং সেখানে কারা যাওয়া-আসা করতেন, ক্যাসিনো ও টেন্ডার সিন্ডিকেটে কারা রয়েছেন— এসব বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক প্রশ্নের জবাব দেননি সম্রাট। তবে সম্রাট বলেন, যারা আমাকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, তাদের টাকার ভাগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এক শ্রেণির কর্মকর্তাও ভাগ পেয়েছেন নির্ধারিত হারে।