সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ: উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য করোনা মোকাবেলা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে ছাড়াতে শুরু করেছে প্রাণঘাতী করোন ভাইরাস। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে স্বাস্থ্য সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে। নেপাল এবং তানজানিয়ার মত দেশগুলোতে বেশিরভাগ সময় হ্যান্ড ওয়াশ, স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সরঞ্জাম এমনকি খাবার পানিরও অভাব দেখা দেয়। সেই সাথে রয়েছে মাস্ক এবং গ্লাভস এর স্বল্পতা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এর প্রধান উপায় হলো হাত ধোওয়া। কিন্তু উন্নয়শীল দেশগুলোর স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে সাবান খুঁজে পাওয়ায় দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে উন্নয়শীল দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাহক হতে পারে করোনার ভাইরাস ছড়ানোর জন্য। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ওম প্রসাদ গৌতম বলছেন, হাত পরিষ্কার রাখার জন্য পর্যাপ্ত সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ থাকা জরুরী । এর ব্যবস্থা না করলে স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে খুব দ্রুত করোনা ছড়াবে। সেক্ষেত্রে আফিক্রা ও এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাকে নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর চিকিৎসককে পর্যাপ্ত সুরক্ষা না নিয়েই রোগীর সেবা করতে দেখা যায়।কয়েক বছর আগে নর্থ ক্যারোলিনার গবেষকরা ৭৮ টি মধ্যম ও নিম্ম আয়ের দেশের স্বাস্থ্য সেবার অবস্থা নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। ২০১৮ সালে এর ফলাফল প্রকাশ হয় যেখানে দেখা যায় অর্ধেকেরও কম মাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আছে ।শতকরা ৩৯ ভাগ মানুষের হাত ধোয়ার জন্য কোন সাবান নেই, তিনভাগের এক ভাগ মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত বাথরুম নেই, চারভাগের তিনভাগ মানুষ জীবাণুমুক্ত সরঞ্জাম থেকে বঞ্চিত। মাত্র ২ শতাংশ মানুষের পানি, স্যানিটেশন এবং বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে।এই পরিসংখ্যানকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে ভীতিজনক বলছেন গৌতম। উপচে পড়া ভিড়, জায়গার অভাব এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সুরক্ষার অভাব বড় সমস্যা হতে দাঁড়াতে পারে করোনা মোকাবেলায়।