শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৬ই মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে, ২রা মে সরকারি ছুটির মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে ১৬ই মে পর্যন্ত করা হচ্ছে বলে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ঈদকে সামনে রেখে সীমিত পরিসকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে, তবে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। বন্ধ করতে হবে বিকেল ৫টার মধ্যে।
সেখানে আরো জানানো হয়, ঈদের ছুটিতে আন্তঃজেলা গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে, ঈদের ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ছুটিতে জনসাধারণ ও সকল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। জরুরি পরিসেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির বাইরে থাকবেন।
সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে। কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে না।
চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) কর্মীরা এ ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবেন।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি থাকলেও মাঠ প্রশাসনের প্রয়োজনীয় সব দপ্তরগুলো খোলা আছে। সচিবালয়ে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত দপ্তরগুলোর খোলা রেখে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
দেশে গত ৮ই মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। সম্পূর্ণ বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়ে। আর, সারা দেশে গত ২৬শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। জেলায় জেলায় চলছে লকডাউন। মানুষকে ঘরে রাখতে টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।