সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী
ছয় দফা ছিল বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব প্রচেষ্টা : প্রধানমন্ত্রী

ছয় দফা ছিল বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব প্রচেষ্টা : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

ভিশন বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারো পরামর্শে নয়, ছয়দফা প্রস্তাব ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজস্ব প্রচেষ্টা। স্বাধীনতা অর্জনে ছয় দফার ভূমিকা অপরিসীম। বিজয় সমুন্নত রাখতে জাতির পিতার দেখানো পথেই এগিয়ে যেতে হবে। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সারা বাংলায় আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালিত হয় ১৯৬৬ সালের ৭ জুন। হরতাল চলাকালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে সৈন্যদের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। গ্রেপ্তার হন অনেকে। স্বাধিকারের এই আন্দোলন ও আত্মত্যাগের পথ বেয়েই শুরু হয়েছিল বাঙালির চূড়ান্ত স্বাধীনতার সংগ্রাম। শেখ হাসিনা বলেন, কারও পরামর্শে নয়, সম্পূর্ণ নিজস্ব ধারণা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা প্রণয়ন করেছিলেন। আর দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে ছয় দফার ভূমিকা অনেক। সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সেই অগ্রযাত্রাকে স্তিমিত করেছিল। পনেরো আগস্ট পরাজিত শক্তির উত্থান ঘটেছিল। তারা আমাদের বিজয়কে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।’ শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন, সেই পথ ধরেই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। দেশকে যদি আমরা ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত করে সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে চাই, অবশ্যই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হবে।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেওয়া হতো না। ভাষণ বাজাতে চাওয়ায় অনেককে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে এখন সবাই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারছে। নতুন প্রজন্মের আগ্রহটা, বিশেষ করে তারা যে সুন্দরভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছে এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ইতিহাস তার আপন গতিতে এগিয়ে যায়। কেউ ইতিহাস মুছতে পারে না এটা আজকে প্রমাণিত সত্য। আজকে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্ব, জাতিসংঘও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে করোনাভাইরাসের কারণে তা হয়নি। অবশ্য ইতোমধ্যে তারা একটা স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।’ করোনার কারণে জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত না করতেই ডিজিটাল আয়োজন করা হচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com