বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক-
ভারত সরকার কর্তৃক বিভিন্ন দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা রফতানিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে টিকার চালান আসা এবং দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে সরকারের হাতে থাকা টিকার মজুতও কমে আসছে। আবার ৭ এপ্রিল থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ডোজের মজুত থেকে প্রথম ডোজ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি টিকা না আসে, তাহলে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
গত ২৫ জানুয়ারি ৫০ লাখ টিকা আসে বাংলাদেশে। ২১ জানুয়ারি উপহার হিসেবে আরও ২০ লাখ টিকা পৌঁছায়। ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০ লাখ আসার কথা থাকলেও এসেছে মাত্র ২০ লাখ। মার্চে ৫০ লাখ টিকা আসার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো চালান আসেনি। কবে নাগাদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হবে সেটা নিয়েও কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র বলেন, ‘রফতানি স্থগিতাদেশের কারণে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ, প্রথম ডোজের টিকা প্রয়োগ শেষ করে দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম পরিচালনার মতো পর্যাপ্ত টিকা আমাদের হাতে মজুত নেই। এ অবস্থায় নতুন করে টিকার চালান না আসা পর্যন্ত আমাদের আশঙ্কার মধ্যেই থাকতে হবে। তবে ৮ তারিখ (এপ্রিল) থেকেই দ্বিতীয় ডোজ শুরু হচ্ছে। এটাই আপাতত আমাদের সিদ্ধান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত সরকারের উপহারের টিকাসহ সর্বসাকুল্যে আমাদের কাছে মোট এক কোটি দুই লাখ টিকা মজুত আছে। এর মধ্যে গতকাল (২৭ মার্চ) পর্যন্ত প্রায় ৫৩ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সামনে আরও কয়েকদিন প্রথম ডোজের টিকা দিয়ে যেতে হবে। এরপর সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করার মতো টিকা আমাদের হাতে নেই। নতুন করে যদি না আসে তাহলে আমাদের অনেকটাই বিপদে পড়তে হবে। যদিও এ মাসের মধ্যে গত মাসের ৩০ লাখ আর চলতি মাসের ৫০ লাখসহ মোট ৮০ লাখ ডোজ টিকা আমাদের পেয়ে যাওয়ার কথা।’