মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী
হাসপাতাল ও অ্যাম্বুল্যান্স দালাল চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২

হাসপাতাল ও অ্যাম্বুল্যান্স দালাল চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মোহাম্মদপুর ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল থেকে গত মঙ্গলবার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২। তারা হলেন চক্রের হোতা সাহাদৎ হোসেন মামুন (৪৬), মহিন উদ্দিন মামুন (৪৬), রহমত উল্লাহ (৩২) ও আকরাম হোসেন (৫২)।

তাঁদের কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার জাল নোট ও ৫৫০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। র‍্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা জাল টাকা, মাদক কারবার এবং হাসপাতাল ও অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীদের প্ররোচিত করে নেওয়ার কাজ করছিলেন।

গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-২-এর অধিনায়ক খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের অন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো, অ্যাম্বুল্যান্স সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উচ্চ ভাড়ায় ঢাকার বাইরের রোগীদের নির্ধারিত হাসপাতালে ভর্তির মাধ্যমেও কমিশন আদায় করত চক্রের হোতা সাহাদৎ হোসেন মামুনের নেতৃত্বাধীন চক্রটি। এরা জাল টাকা ও মাদক ব্যবসাও করে আসছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, উন্নত চিকিত্সার নাম করে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে রোগী নিয়ে আসেন এবং রোগী নিয়ে এসে আইসিইউতে ভর্তি, চেকআপের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। এ ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল। জেলা শহরের অ্যাম্বুল্যান্সচালকদের প্রলোভন দেখিয়ে চক্রের পছন্দের হাসপাতালে রোগী আনতে বাধ্য করত চক্রটি।

র‍্যাব জানায়, সাহাদৎ হোসেন মামুন একজন বড় মাপের প্রতারক। তিনি প্রতারণা করে বিভিন্ন জেলায় ২৭টি বিয়ে করেছেন বলে জানতে পেরেছে র‍্যাব। বিয়ের পর মূলত যৌতুক ও টাকা আদায়ের পর তাঁদের জিম্মি করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে বাধ্য করতেন। মামুন এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন হাসপাতালের নার্স ও হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগী বা তাঁদের আত্মীয়দের টার্গেট করতেন। অনেকে তাঁর প্রতারণায় পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com