শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন

মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ কমে এলেও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নজরুল ইসলাম ভার্চুয়াল বুলেটিনে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত কমে আসায় খুলে দেওয়া হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তারও আগে প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সব কার্যক্রমে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। গণপরিবহনের যাত্রী পরিবহনে আরোপিত নানা শর্তও তুলে নেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে আসলেও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালনের অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, করোনা সংক্রমণের এখন যে জায়গাটিতে আমরা আছি, ভ্যাকসিনেশন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এই দুইয়ের সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে সেটিকে ধরে রাখা সম্ভব।

তিনি বলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি ও শিষ্টাচার অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সকলকেই সঠিক নিয়মে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড বা তারও বেশি সময় ধরে হাত ধুতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী হ্যান্ড সেনিটাইজ করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

যারা দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের জ্বর বা কোভিডের উপসর্গ থাকলে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণের কথাও জানান ডা.নজরুল।

গত অক্টোবর থেকে দেশে প্রথমবারের মতো ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাপ্রদান শুরু হয়েছে। সরকারের হাতে ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা রয়েছে, এ থেকে ৩০ লাখ ডোজ দেওয়া হবে শিশুদের। বাকি ৩০ লাখ ডোজ রেখে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, এই টিকা দেওয়া হবে ‘টেস্ট রান’ হিসেবে। যাদের টিকা দেওয়া হবে তাদের ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে।

টিকা দেওয়ার পর শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অভিভাবকরা খেয়াল রাখেন সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এই টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ১২-১৭ বছর বয়সীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সে জায়গাতেও অভিভাবকরা যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মেনে চলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সেই অনুরোধ করা হয়েছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com