মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিজয়ীদের মধ্যে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০’ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পীদের সর্বোচ্চ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ পুরস্কার বিতরণ করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে (বিআইসিসি) সোমবার সকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সভাপতিত্বেই অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ এর পুরস্কারপ্রাপ্ত ২৭টি ক্যাটাগরিতে ৩২ জনের নাম ঘোষণা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে যৌথভাবে পুরস্কার জিতেছে ‘গোর (দ্য গ্রেভ)’ ও ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্র। গোর (দ্য গ্রেভ) যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন গাজী রাকায়েত ও ফরিদুর রেজা সাগর এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ প্রযোজক ছিলেন অঞ্জন চৌধুরী।
চলচ্চিত্র শিল্পে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য ‘আজীবন সম্মাননা’ লাভ করেছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম (আনোয়ারা) এবং অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ।
‘গোর’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন গাজী রাকায়েত। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সিয়াম আহমেদ সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হন এবং ‘গোর’ চলচ্চিত্রের জন্য দীপান্বিতা মার্টিন ২০২০ সালের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।
পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির জন্য ফজলুর রহমান বাবু এবং ‘গণ্ডি’ ছবির জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন অপর্ণা ঘোষ।
‘বীর’ ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান মিশা সওদাগর। ‘গণ্ডি’ ছবির জন্য সেরা শিশুশিল্পীর পুরস্কার জিতেছেন মুগ্ধতা মোর্শেদ ঋদ্ধি।
‘হৃদয়জুড়ে’ ছবিতে ‘বিশ্বাস যদি যায়রে’ গানের জন্য বেলাল খান শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন প্রয়াত মো. সাহিদুর রহমান।
সেরা গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন ইমরান মাহমুদুল (‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্র), এবং দিলশাদ নাহার কনা ও সোমনুর মনির কোনাল যৌথভাবে ‘বিশ্বসুন্দরী’ ও ‘বীর’ চলচ্চিত্রে গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন।
সৈয়দ আশিক রহমান পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আড়ং’ শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন।
অন্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন— কবির বকুল (সেরা গীতিকার), মো. মাহমুদুল হক ইমরান (সেরা সুরকার), গাজী রাকায়েত (গল্প), গাজী রাকায়েত (চিত্রনাট্যকার), ফখরুল আরেফিন খান (সংলাপ), শরিফুল ইসলাম (সম্পাদনা), উত্তম কুমার গুহ (সেরা শিল্প নির্দেশনা), পঙ্কজ পালিত এবং মাহবুব উল্লাহ নিয়াজ (সম্মিলিতভাবে সেরা চিত্রগ্রাহক), মো. শাহাদাত হাসান বাঁধন (সেরা শিশুশিল্পী বিভাগে বিশেষ পুরস্কার), কাজী সেলিম আহমেদ (সাউন্ড ডিজাইনার), এনামতারা বেগম (পোশাক) এবং মোহাম্মদ আলী বাবুল (মেকআপ)।
পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে বিশিষ্ট অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।