বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
গুলিতে আহত হবার পর প্রথমবারের মতো নিজ দেশ পাকিস্তানে ফিরলেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
২০ বছর বয়সী মিস ইউসুফজাই পাকিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চলে মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে তার সাহসী ভূমিকার কারণে প্রথম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে আসেন।
‘স্পর্শকাতরতা’ বিবেচনা করে তার পাকিস্তান সফরের বিস্তারিত গোপন রাখা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তবে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসীর সাথে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের টেলিভিশনে অবশ্য একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে যাতে বাবা-মায়ের সাথে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ বেনজির ভুট্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যাচ্ছে তাকে।
এ সময় সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী মালালার সফর হতে পারে চারদিনের এবং তার সাথে মালালা ফান্ড গ্রুপের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয় যে তিনি তার নিজের শহর সোয়াত সফর করবেন কিনা।
কেন হামলা হয়েছিলো মালালার ওপর?
তখন তার বয়স মাত্র ১১। তখনি তালিবান শাসনে তার জীবন কেমন চলছে তা নিয়ে বিবিসি উর্দু সার্ভিসে লেখা শুরু করেন তিনি।
নারী শিক্ষা ও জঙ্গিদের নিপীড়ন নিয়ে সোচ্চার ছিলেন তিনি।
তালেবান জঙ্গিরা ২০১২ সালে স্কুল থেকে ফেরার পথে তার মাথায় গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঐ ঘটনা তাকে বিশ্বজোড়া পরিচিতি এনে দেয়।
পাকিস্তানি তালিবানদের মতে ওই সময় তারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলো কারণ তারা মনে করে মালালা ‘পশ্চিমা পন্থী’ এবং পশতুন অঞ্চলে তিনি পশ্চিমা সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করছেন।
ভয়াবহ ওই হামলার পরে প্রাণে বেঁচে যান মালালা।
পরে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা নেন এবং পরিবারের সঙ্গে সেখানেই বসবাস করতে শুরু করেন।
সুস্থ হওয়ার পর শিশুদের শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি।
পিতা জিয়াউদ্দিনের সাথে শিশুদের জন্য কাজ করতে মিলে গঠন করেন মালালা তহবিল।
২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
পাকিস্তান কি এখনো বিপজ্জনক?
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরে পাকিস্তানে এখনো সক্রিয় আছে তালিবান।
স্কুল ও কলেজে অনেকগুলো হামলার জন্য তাদেরকেই দায়ী করা হয়।
মালালা বহুবারই পাকিস্তানে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন বিশেষ করে তার এলাকা সোয়াতে- যেটি তার ভাষায় “পৃথিবীতে একটি স্বর্গ”।
কিন্তু পাকিস্তান ধর্মীয়ভাবে চরম রক্ষণশীল একটি দেশ।
– বিবিসি বাংলা