সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
আব্দুর রাজ্জাক, ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডিমলায় সরকারী আদেশ উপেক্ষা করে ভারতীয় সীমান্তে গভীর খাদ থেকে বোমা মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে পাইপ ভাংচুর করে বিনষ্ট করা হয়। এসময় একটি বোমা মেশিনসহ সরঞ্জাদি জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের পিয়াজি পাড়া ঠাকুরগঞ্জ (ক্যাম্প পাড়া) গ্রামের মৃত মাজেদুর রহমানের পুত্র মাসুম মিয়া (৪৫) দীর্ঘদিন যাবত তিস্তা নদীর চর, সরকারি খাস ও আবাদি জমিতে ভারী বোমা মেশিন বসিয়ে গভীর খাদ থেকে সরকারি আদেশ নিষেধ উপেক্ষা করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বালু উত্তোলন করে জমজমাট ব্যবসা করে আসছে। তার এই অবৈধ কাজে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকে নানাভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে অনেক।
পরিবেশবাদী সংগঠন ও এলাকার সচেতন মহলের বাধার মুখেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে । গত কয়েকদিন হতে ঠাকুরগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় ভারি মেশিন বসিয়ে গভীর খাদ থেকে আবারো র্নির্দ্বিধায় বালু উত্তলোন শুরু করে । এলাকাবাসী জানায়,মাসুম মিয়া একজন চিহ্নিত বালু ব্যবসায়ী। গভীর খাদ থেকে বালু উত্তোলন করাই তার একমাত্র কাজ। সে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করে জমা (স্টক) করে রেখে পর্যায়ক্রমে বেশি দামে বিক্রি করে।
ঠাকুরগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানে অবৈধভাবে ভারী মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে বিজিবি কমান্ডার সাইফুজ্জামান না এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,বালু উত্তোলনে আমরা বাধা প্রদান করেছি কিন্তু তিনি বাধা মানেননি। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেল মিয়া অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ১০০ ফিট পাইপ ভেঙ্গে নষ্ট করে দেয়া হয় । এসময বালু উত্তোলনের একটি বোমা মেশিন ও বেশ কিছু পাইপ জব্দ করা হয় । জব্দকৃত মালামালগুলো পশ্চিম ছতনাই ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়েছে । এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাসেল মিয়া বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।