বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শাহীন-কাওছার কর্মকাণ্ডে তলানিতে স্বদেশ লাইফ কোটচাঁদপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মতিয়ার রহমানের গণসংযোগে উৎসবমুখর পরিবেশ পল্টন থানা হারানো ৪৩টি মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের ফেরত দিয়েছে মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য সুখবর, ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে সরকার পদ্মা লাইফে নারীদের সাথে ভয়ংকর প্রতারণা দেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৮৯ বিলিয়ন ডলার তফসিল ঘোষণার পর সারা দেশে নামছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ ও সার বিতরণ সিংড়ায় নির্বাচনী মাঠে রিকশা প্রতীকের জোয়ার গণসংযোগে ব্যস্ত মুফতী রুহুল আমিন মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের ব্রিফিং, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

শাহীন-কাওছার কর্মকাণ্ডে তলানিতে স্বদেশ লাইফ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে স্বদেশ লাইফের বিরুদ্ধে। আর এসবের নেপথ্যে উঠে এসেছে চুরি মামলার আসামি ভারপ্রাপ্ত সিও এ.জেড কাওছার এবং বিতর্কিত ও অপরাসিত সাবেক সিইও ইখতিয়ার শাহীনের নাম।  এতে করে বিমা প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও গ্রাহক স্বার্থ উপেক্ষার চিত্র আবারও সামনে এসেছে। এ নিয়ে ভিশন বাংলার ৪ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।

স্বদেশ লাইফে বর্তমানে আব্দুল জব্বার কাওছার ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে দায়িত্বে আছেন। এর আগে তাকে কোম্পানি থেকে বহিষ্কার করে গ্রাহক ও কর্মীদের সকল প্রকার যোগাযোগ ও লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয় স্বদেশ লাইফ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রাজধানীর সিএমএম আদালতে চুরির মামলা দায়ের করে স্বদেশ। দীর্ঘদিন পর তাকে আবারও ভারপ্রাপ্ত সিইও পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এই কাওছারের পূর্বের কর্মরত প্রতিষ্ঠানগুলোতেও রয়েছে নানা বিতর্ক। চুরি মামলার আসামি বিতর্কিত ও বহিষ্কৃত  কাওছারকে সিইও নিয়োগ দেয়ায় বীমা খাতে শুরু হয় সমালোচনা। স্বদেশের অভ্যন্তরে ও বীমা খাতে তৈরি হয় ক্ষোভ। কাওছার দায়িত্ব গ্রহণের পরই প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র বেশ পুরোনো কয়েকজন কর্মকর্তাকে অপসারণ করে।  এতে ক্ষোভ আরো বাড়ে, সমালোচনার ঝড় স্যোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে। সে যোগদান করেই ব্যাংক থেকে প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করে খরচ করতে থাকে– যাতে সংকট আরো বেশি বেড়ে যায়।

প্রতিষ্ঠানের লাইফ ফান্ডের কোটি কোটি টাকা লোপাট কান্ডে স্বদেশ লাইফ এমনিতেই রয়েছে চরম আর্থিক ঝুঁকিতে। এ অবস্থায় আর্থিক দৈন্যদশায় ভোগা প্রতিষ্ঠানটির হাজার হাজার গ্রাহকরা পড়েছেন চরম হতাশায়। খাত সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেছে—এই মৃতপ্রায় প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ পুঁজি লোপাটের জন্যই কি বিতর্কিত কাওছার ও কথিত পরিচালক ইখতেয়ার শাহীনকে এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া! এসব নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠায় নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার ৩ মাসের মাথায় কাওছারের ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমতি বাতিল করে দেয় আইডিআরএ। একই সাথে স্বদেশ লাইফে দ্রুত সময়ে নতুন সিইও নিয়োগের নির্দেশ দেয়। কিন্তু আইডিআরএর নির্দেশনা অমান্য করেই এখনো কাওছার ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এমনকি শাহিনকেও অপরাসিত করার পরেও তিনি বিভিন্ন সময়ে নানা পদবী ধারন করে এখনও প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন। যা নিয়ে ক্ষোভের ঝড় বইছে বীমা খাতে। উঠছে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ’র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের দাবী, আইডিআরএ’র কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই তারা নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে এসব অপরাধ-অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে।

স্বদেশ লাইফের বর্তমান রুগ্ন অবস্থা এবং শাহিন ও কাওছারের কর্মকাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়েন সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিইও মো. জামাল উদ্দিন। কোম্পানির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ’র কাছে অভিযোগও করেছেন তিনি।

কাওছার এবং শাহিনের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করে অপর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিইও হেদায়েত হোসেন আকাশ বলেন, আমার দায়িত্ব পালনকালে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। লাইফ ফান্ডের টাকা অথবা প্রতিষ্ঠানের জমানো টাকায় হাত না-দিয়ে মাঠ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেই ব্যবস্থাপনা ব্যয় পরিচালনা করেছি। কিন্তু এখনকার যারা দায়িত্বে এসেছে তারা প্রতিষ্ঠানের লাইফ ফান্ডের লভ্যাংশের টাকা উঠিয়ে খরচ করছে কেন? একের পর এক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করায় এবং নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে স্বদেশ লাইফ নিয়ে বর্তমানে যে সমালোচনা চলছে তাতে বেশ হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, এদের কারও কোনো অনুমোদন নেই। আইনের তোয়াক্কা না করে আইডিআরএ’র নির্দেশ অমান্য করে কিভাবে বর্তমান সিইও কাওছার এবং স্বঘোষিত পরিচালক শাহিন কিভাবে দায়িত্ব পালন করছেন- তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

অন্যদিকে কোম্পানিটিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম, ব্যবস্থাপনায় সংকট ও বিমা আইন লঙ্ঘন নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে অভিযোগ দিয়েছেন স্বদেশ লাইফের এসভিপি আলমগীর শেখ।

এই সংকটকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সামনে আনেন স্বদেশ লাইফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) মো. আলমগীর শেখ। ৮ ডিসেম্বর তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একটি বিস্তৃত লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন, যার কপি প্রেরিত হয়েছে আইডিআরএ, দুদক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায়। অভিযোগপত্রে তিনি স্পষ্টভাবে সতর্ক করেন—কোম্পানির অভ্যন্তরীণ এই দুর্নীতি হাজার হাজার গ্রাহকের সঞ্চিত অর্থ, ভবিষ্যৎ বীমা দাবি এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অস্তিত্বকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, সাবেক সিইও মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন গ্রাহকের প্রিমিয়ামের ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৭১৭ টাকা নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে জমা দেন এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে ইনসেনটিভ হিসেবে গ্রহণ করেন আরও ৪১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ টাকা। মোট আত্মসাৎকৃত অর্থ দাঁড়ায় ১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ২২২ টাকা। আইডিআরএ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর এই অর্থ ফেরত দিতে লিখিত নির্দেশ দিলেও আজ পর্যন্ত অর্থ ফেরত দেওয়া হয়নি। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো—অভিযোগ অনুযায়ী তিনি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বীকারও করেছেন যে গ্রাহকের প্রিমিয়াম তিনি নিজের ব্যক্তিগত হিসাবে জমা দিয়েছেন।

কিন্তু অর্থ ফেরত না দেওয়া ও আইন লঙ্ঘন সত্ত্বেও ইখতিয়ার শাহীন আবারো বিভিন্ন পরিচয়ে কোম্পানির কার্যক্রমে জড়িত থাকছেন। আইডিআরএ ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট পত্র দিয়ে তাকে সিইও পদ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু অভিযোগ অনুসারে, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তিনি কোম্পানির ৪৯তম বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর এস আর এম কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক পরিচয়ে স্বদেশ লাইফে প্রতিনিধিত্ব করছেন। অভিযোগকারীর দাবি—এটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং বীমা খাতের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার স্পষ্ট উদাহরণ।

অন্যদিকে, কোম্পানির আরেক বিতর্কিত চরিত্র আব্দুল জব্বার কাওছার। কোম্পানি একসময় তাকে বহিষ্কার করে কর্মীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে রাজধানীর সিএমএম আদালতে চুরির মামলা পর্যন্ত চলমান। তবুও তাকে আবারো ভারপ্রাপ্ত সিইও পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোম্পানিতে আরও অস্থিরতা দেখা দেয়। বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে তিনি অপসারণ করেন, যা নিয়ে কোম্পানির ভেতরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। কাওছার যোগদানের পরপরই কোম্পানির ব্যাংক হিসাব থেকে ৩০ লাখ টাকা লভ্যাংশ উত্তোলনের অভিযোগও উঠে আসে, যা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংকটকে আরও গভীর করে তোলে।

এসব অনিয়মের পুঞ্জীভূত ফল হলো স্বদেশ লাইফ আজ চরম আর্থিক ঝুঁকির মুখে। লাইফ ফান্ডের কোটি কোটি টাকা লোপাট ও অস্বচ্ছ লেনদেনের কারণে গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিমা খাত সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন—এই মৃতপ্রায় প্রতিষ্ঠানের শেষ বাকি পুঁজি লোপাট করতেই কি কাওছার এবং শাহীনকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানো হয়েছে?

অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, কোম্পানি তার পরিশোধিত মূলধন ও সুদ পর্যন্ত খরচ করে ফেলেছে। স্থায়ী আমানতের বিপরীতে ১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে, যা আজ পর্যন্ত পরিশোধ হয়নি। এ নিয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১২ পরিচালককে অপসারণের নির্দেশ দেয়। তবে কোম্পানির করা রিটের কারণে হাইকোর্টের আদেশে সেই অপসারণ ছয় মাসের জন্য স্থগিত হয়। কিন্তু আইডিআরএ যথাযথ তদারকি না করায় মামলাটি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।

অভ্যন্তরীণ আর্থিক বিশৃঙ্খলা আরও ভয়াবহ। ২০১৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত স্বদেশ লাইফ অনুমোদিত সীমার চেয়ে ৪১% থেকে ২১৯% পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় করেছে। ২০২১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো অভ্যন্তরীণ অডিট, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বা বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিতে স্থায়ী সিএফও ও কোম্পানি সচিব নেই। বিভিন্ন সময় ভিন্ন কর্মকর্তাকে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়, ফলে কোম্পানির আর্থিক তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে আছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে—২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কোম্পানি কোনো সরকারি ভ্যাট বা ট্যাক্স পরিশোধ করেনি। কর্মীদের বেতন থেকে কাটা ভ্যাট-ট্যাক্সের সনদ সরবরাহ করা হয়নি।

ব্যাংকিং ও আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হওয়ায় নামে-বেনামে বিল ভাউচার তৈরি, কমিশন ও ইনসেনটিভ বণ্টনে জালিয়াতি, অনিয়ম, পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দের অভিযোগ নিয়মিতভাবেই উঠে এসেছে। অনেক কর্মকর্তা নিয়মিত ইনসেনটিভ পান না, কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি হারানোর ভয় দেখানো হয়।

এই পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার বদলে কোম্পানির দায়িত্বশীলরা বিভিন্ন পদে বদলি হন, চলতি দায়িত্বে সিইও পরিবর্তন হয় একের পর এক—মোট ৪ জন কর্মকর্তা গত দুই বছরে সিইওর দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থায়ী সিইও নিয়োগ না করা কোম্পানির সংকটকে আরও দীর্ঘায়িত করেছে।

অভিযোগপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে—এই দীর্ঘস্থায়ী অনিয়ম, দুর্নীতি, আর্থিক অসচ্ছলতা ও ব্যবস্থাপনাগত বিশৃঙ্খলার কারণে স্বদেশ লাইফের হাজার হাজার গ্রাহকের সঞ্চিত অর্থ আজ চরম ঝুঁকির মুখে। অভিযোগকারী এসভিপি আলমগীর শেখ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে গ্রাহকের অধিকার সুরক্ষিত থাকে এবং প্রতিষ্ঠানের সুশাসন ফিরিয়ে আনা যায়।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন কোম্পানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। বীমা খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন—স্বদেশ লাইফের এই অবস্থা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি পুরো বীমা খাতের দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, লুটপাট সংস্কৃতি এবং দুর্নীতিবান্ধব পরিবেশের প্রতিফলন।

তাদের মতে, এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে শুধু স্বদেশ লাইফ নয়—দেশের বীমা খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের যে সামান্য আস্থা বাকি আছে, তাও ভেঙে পড়বে।

এসব ব্যাপারে আইডিআরএর এক কর্মকর্তা বলেন, স্বদেশ লাইফের দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অবস্থাপনা নিয়ে আমাদের তদারকী চলমান রয়েছে। আমরা এসব অনিয়ম বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারপরেও কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনকে ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে কল করা হলে অনলাইনে থাকার পরেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের বর্তমান  ভারপ্রাপ্ত সিও এ.জেড. কাওছারের মোবাইলে এবং হোয়াটসঅ্যাপে কল করা হলেও তিনি রিসিভ না-করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com