মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: কোরবানির ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৭আগস্ট) মহাখালীতে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ঈদযাত্রায় এবার যাত্রীদের অভিযোগ কম পাওয়া যাচ্ছে বলেও দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি বেশি ভাড়া নিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছি কোনো কাউন্টার, সে বলল, সিরাজগঞ্জের স্টারলাইন। সঙ্গে সঙ্গে এটা বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়া আর কোন অভিযোগ আসেনি।’ অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেব।
কাদের বলেন, ঈদুল ফিতরের চেয়ে এবার বড় শহর থেকে মফস্বল বা গ্রামমুখী মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। ‘প্রধানমন্ত্রী ২৩টি সেতু উদ্বোধন করার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রা এবার স্বস্তিদায়ক হবে, সহনীয় হবে ভোগান্তি।’ ‘আর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনী রেল ওভারপাসের কারণে গত ঈদের কিছুটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, এটাও এবার খুলে দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিবারই ঈদ যাত্রা শুরুর আগেই মহাসড়কে যানজট নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরেই পুলিশের সক্রিয়তা আর বিভিন্ন সড়ক আগাম মেরামত করায় মোটামুকি স্বস্তিদায়ক ঈদ যাত্রা হয়ে আসছে।
ঈদুল ফিতরের আগেও ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যযন্ত এই দুটি মহাসগকে যাবাহন চলাচলে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও তেমন ভোগান্তি আসেনি।
সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-টাঙ্গাইল পথে অন্যান্য সমস্যাও সমাধান করা হয়েছে। রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার বিশ্বাস এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। সব মিলিয়ে গত ঈদের চেয়ে এবারে ঈদ স্বস্তিদায়ক হবে।’
পশুবাহী যানবাহন যথাযথ জায়গায় রাখার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পশুবাহী গাড়িগুলো যথাযথভাবে রাখলে এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় না নামালে আর কোথায় কোনো সমস্যা থাকবে না।’
দেশে ওয়ান-ইলেভেনের থেকেও ভয়ংকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টির চক্রান্ত কিন্তু বিএনপি করেছে। মিডিয়ার একটি অংশ তাদের সহযোগিতা করেছে।
কাদের বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের সঙ্গে এখন মিডিয়ার একটি অংশ সহযোগিতা করছে। আমাদের দেশের মানুষ উন্নয়ন অর্জনে শেখ হাসিনার উপর খুশি। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিবে। এবারের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে আবারও রায় দেবে বাংলার জনগণ। কেননা বিএনপি এবং তাদের দোসররা মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আবারও হুমকি সৃষ্টি করছে।