শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজঃ ডায়াবেটিস রক্তে শর্করার (গ্লুকোজ) মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিকদের প্রায়ই তাদের খাদ্য বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়। আর মৌসুমি ফল বেশি খেতে বলা হয়। কারণ ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো এবং বিরোধী-প্রদাহজনক যৌগগুলোতে সমৃদ্ধ, যা ডায়াবেটিস পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ।তবে সব ফল নয়! আম, চিকু, তরমুজ ও আঙ্গুরের মতো ফল অবশ্যই স্বাস্থ্যকর, কিন্তু চিনির পরিমাণও যথেষ্ট বেশি। এ চিনিগুলো প্রাকৃতিক চিনি এবং সাধারণত নানা পানীয় এবং ক্যান্ডিগুলোয় পাওয়া যায় এমন বিপজ্জনক ধরনের চিনির মতো নয়। এ ফলগুলো খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা ভালো। তবে গ্লাইসমিক সূচক কম এমন ফল নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) হলো একটি সূচক, যা খাদ্যে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা ও কীভাবে তা রক্তে চিনির ভারসাম্যের সমস্যা ঘটায় তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। নিম্ন জিআই মানের খাদ্য (৫৫ বা তার কম) হজম, শোষণ এবং বিপাক হতে সময় লাগে। এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা খুব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে। যেহেতু এই ফলগুলোতে ফাইবার বেশি থাকে, তাই তা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে পূর্ণ রাখে এবং খিদে কমায়। ফলে ওজনও কমে।পাঁচটি কম শর্করা এবং নিম্ন জিআই সূচক সমৃদ্ধ ফল রয়েছে, যা আপনি ডায়াবেটিস ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন-
পেয়ারা : পেয়ারা ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের (একটি সাধারণ ডায়াবেটিক উপসর্গ) সমস্যায় সাহায্য করে এবং রক্তের চিনির বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
পিচ : ১০০ গ্রামের পিচে ফাইবার আছে ১ দশমিক ৬ গ্রাম। ফাইবার রক্ত প্রবাহের মধ্যে চিনির মুক্তির গতি ধীর করে তোলে।
কিউই : টক ও সুস্বাদু এই ফল ভিটামিন এ এবং সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসে সমৃদ্ধ। কিউই রক্তে গ্লুকোজ ধীরে ধীরে মুক্তি পেতে সহায়তা করে, যা রক্তে চিনির আচমকা বৃদ্ধির ঝুঁকিকে কমিয়ে রাখে।
আপেল : প্রতিদিন একটা করে আপেল ডায়াবেটিস পরিচালনার জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবারের পর্যাপ্ত ভাণ্ডার আপেল আপনার রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং শর্করার উর্ধ্বগতিও প্রতিরোধ করতে পারে। কাঁচা এবং তাজা আপেল খাওয়া সবথেকে উপকারী।
কমলা : আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন ডায়াবেটিসের সুপারফুডসের মধ্যে বেশ কিছু সাইট্রাস ফল তালিকাভুক্ত করেছে। অ্যাসোসিয়েশনের মতে, কমলা আঙ্গুর এবং লেবু ফাইবার, ভিটামিন সি, ফোলেট এবং পটাসিয়াম দিয়ে পূর্ণ, যা ডায়াবেটিকদের বহু উপকারে আসে।আপনার খাদ্যতালিকায় এ ফলগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন এবং স্বাভাবিকভাবেই ডায়াবেটিস পরিচালনা করুন। কিন্তু আপনার ডায়েটে কোনো ফল যোগ করার আগে আপনার ডায়াবেটোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।
তথ্যসূত্র : এনডিটিভি