রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করা গেলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবে না। আর যদি যায় তাহলে আমি হাতে চুড়ি পরবো।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক সমাবেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী দাবি করেন, ক্ষমতা হারানোর পর এখন বিএনপি নেতা-কর্মীরা পালিয়ে বেঁচে আছেন। কিন্তু ক্ষমতা হারালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পালিয়েও বাঁচবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মাত্র ১৩ পার্সেন্ট ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার মানায় না।’
কাদের সিদ্দিকী দাবি করেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দল আওয়ামী লীগ হলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে না, তারা ভালোবাসে ক্ষমতা। আগে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগে একের অন্যের আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল আর এখন শত্রুতা।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন আর আওয়ামী লীগ করে না বলেই সেই দলে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য দায়ী’ হাসানুল হক ইনু আর ‘বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে জুতা’ বানানোর স্লোগান দেওয়া মতিয়া চৌধুরীর মতো মন্ত্রী আছেন বলে কাদের সিদ্দিকী দাবি করেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাকে ইনু-মতিয়ার সাথে বেহেশতে যেতে বললেও যাবো না।’
বঙ্গবীর বলেন, স্বাধীনতার পরে জাসদ যা হত্যা না করেছে আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের লোককে তার চেয়ে অনেক বেশি হত্যা করেছে।
নাটোরের রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি নাটোরে আটদিন অবস্থান করে আব্দুল কুদ্দুসকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজ করে গেছেন। আর পরে নিজ দলের কাজে আহম্মদপুর স্কুল মাঠে তাঁবু খাটিয়ে থাকার সময় সেই আব্দুল কুদ্দুসই গুন্ডা বাহিনী পাঠিয়ে তাদের তাঁবু ভেঙ্গে দেন।
তিনি বলেন, আব্দুল কুদ্দুসের মতো নিমক হারাম আর আছে বলে আমার জানা নাই।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, তিনি নাটোরে তার দলের জন্য গামছার বীজ বপণ করতে এসেছেন। এই বীজ থেকেই এক সময় হাজার হাজার গামছার কর্মী-সমর্থক তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ, আশাবাদ তার।
নাটোর জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম মুন্সির সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর প্রতীক হাবিবুর রহমান তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুব শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুন নবী সোহেল, স্থানীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা তমসের আলী, সাইফুল ইসলাম, কায়সার জামান খান, এসএম আয়নাল হোসেন ও সোহরাব হোসেন।