বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত ফণী আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে এখন স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে বিপদ সংকেত কমিয়ে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোয় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।আজ দুপুর ১টায় আবহাওয়া অধিদফতরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ‘ফণী’ যে ঢাকা ও এর আশপাশে অবস্থান করছিল সেটি আরও দুর্বল হয়ে দুপুর ১২টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
এর কিছু পরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ের এক সভায় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটি এরই মধ্যে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে আমরা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছি। তার পরিবর্তে সব বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি ফণী যে দিকে অগ্রসর হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। তারসঙ্গে ভারি বর্ষণও হতে পারে। রংপুরে, রাজশাহীতে ভারি বর্ষণ হয়েছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলেও ভারি বর্ষণ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।অমাবস্যা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণি আজ সকাল ৬টার দিকে ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার গতিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় আঘাত হানে। সকালে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।