শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ: বিবাহিত কিন্তু নিঃসঙ্গ এমন নারী-পুরুষদের জন্য ডেটিং সাইট অ্যাশলি ম্যাডিসন। একঘেয়ে জীবন পার করা বিবাহিত নারী-পুরুষদের জন্য ২০০২ সালে কানাডীয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি চালু হয়।
পরকীয়াকে উসকে দেওয়া এ সাইটটি শুরু থেকেই পশ্চিমা সমাজে ঝড় তোলে। এটির ব্যবহারকারী এখন ৬ কোটি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। অনলাইনে অন্য এক প্রেমের সম্পর্কে মেতে উঠছেন তারা।
অর্থনীতি ও বাণিজ্য ভিত্তিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার জানায়, ২০১৮ সালের প্রতিদিন সাড়ে ১৪ হাজার করে মানুষ অ্যাশলি ম্যাডিসনে যুক্ত হয়েছে।
অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, পুরুষদের তুলনায় নারীরাই এই ডেটিং সাইট ব্যবহার করছেন বেশি। সক্রিয় অ্যাকাউন্টের মধ্যে একজন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা হচ্ছে ১.১১।
কয়েক কোটি মানুষের প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে ডেটিং সাইটটির চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার পল কিবল বলেন, “মানুষের মধ্যে যোগাযোগের শক্তি তৈরি করে দিয়েছে এই কোম্পানি।”
তিনি বলেন, “ব্যবহারকারীদের নিয়ে আমরা অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত। সম্প্রতি এক দিনে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এতেই বোঝা যায় যে, বিবাহিত মানুষদের মধ্যে এই অনলাইন ডেটিং সাইটটির চাহিদা কীরকম বৃদ্ধি পেয়েছে।”
দাম্পত্য জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট পুরুষ কিংবা একাকিত্বে ভোগা নারীরা একজন উপযুক্ত বন্ধুর খোঁজে এই সাইটটিতে যুক্ত হন। এর মধ্যে অনেক বিবাহিত আছেন যারা শুধু কৌতুহলবশত অ্যাশলি ম্যাডিসনে ঢোকেন। এ রকম একজন ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথা বলে বিজনেস ইনসাইডার।
জন (ছদ্মনাম) বলেন, “এটি বেশ মজার, আকর্ষণীয়। আমি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছি। কেউ যখন রিপ্লাই দেয় তখন আমার মধ্যে দারুণ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিয়ের পর যে অনুভূতিগুলো আমার হারিয়ে গিয়েছিল, সেসব যেন ফিরে এসেছে।”
আরেকজন ব্যবহারকারী কেইথ (ছদ্মনাম) কয়েক মাস আগে এই ডেটিং সাইটে যুক্ত হন। ৫৩ বছর বয়সী এ ব্যক্তির বিয়ে বিচ্ছেদ না হলেও স্ত্রী থেকে আলাদা থাকেন। এর মধ্যেই এক নারীর সঙ্গে ডেটিং চালিয়ে যাচ্ছেন অনলাইন প্ল্যাটফর্মটিতে।
তিনি বলেন, “এটি গোপনীয় বা নিষিদ্ধ কিছু নয়। আবার প্রকাশ্যও নয়। তবে ব্যক্তিগত প্রেমের সম্পর্কই এটি। এটি আমার জন্য বড় কিছু ছিল।”
কেইথ জানান, ইন্টারনেটে ডেটিং বিষয়টা শুরুতে কিছুটা কঠিন হলেও এখন তিনি খুশি।
তিনি বলেন, “বিয়ে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু আপনি যদি একই সঙ্গে বিবাহিত এবং নিঃসঙ্গ হন, তাহলে তো বিষয়টি ভালো হলো না।”
সাইটটির শীর্ষ কর্মকর্তা কিবল বলেন, “মানুষ বুঝতে শুরু করেছে, রূপকথা গল্পের মতো বিবাহিত জীবন সুখী নাও হতে পারে। আবার তারা বিয়ে বিচ্ছেদও করতে চান না।”
তিনি বলেন, “এই সাইটটি ব্যবহার করতে কিছুটা খরচ আছে। তবে সমস্যা সমাধান না করলেও মানুষের জীবনের জন্য এই সাইট বেশ গুরুত্বপূর্ণ।”