যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক গবেষণা দেখাচ্ছে, যে তরুণ প্রাপ্তবয়স্করা অল্প সময়ের মধ্যে একসাথে বসবাস শুরু করছেন মূলত অর্থনৈতিক কারণে। ভ্যানেসা ডান যেমন বলেন, একা থাকার সময় তার ফ্ল্যাটে সব কিছু এত মেয়েলি ছিল যে স্বপ্নেও ভাবতেন না পুরুষের সঙ্গে থাকতে পারবে। কিন্তু তার দীর্ঘ দূরত্বের প্রেমিক যখন যুক্তরাষ্ট্রে চলে এলেন, তখন অর্থনৈতিক চাপও ভূমিকা রাখল— ভাড়া ভাগ করে নেওয়া এবং খরচ কমানো সহজ হলো।
গবেষণা দেখাচ্ছে, দেড় থেকে ছয় মাসের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ যুগল একসাথে বসবাস শুরু করেন, আর প্রায় ৩৩% বলেন এটি মূলত ভাড়া কমানোর জন্য। বিশেষ করে জেনারেশন জেড এই প্রবণতায় এগিয়ে এসেছে, ৩৮% জানান তারা দ্রুত একসাথে বসবাস করতে রাজি, প্রায়শই একাকিত্বের ধাপ অতিক্রম করে।
কিন্তু ঝুঁকি আছে। আবাসন খরচের কারণে অনেকেই সম্পর্ক শেষ করতে পারছেন না— ৫৫% লোক দীর্ঘ সময় সম্পর্ক ধরে রাখেন, শুধুমাত্র অর্থের কারণে। নিউইয়র্কের সে ক্সোলজিস্ট নাটাসিয়া মিলার এটিকে “আর্থিক জুটি” বলছেন, যেখানে প্রেম নয়, বরং লিজ এবং বিল মানুষকে একসাথে বাঁধছে।
অন্যদিকে, কিছু তরুণ নারী একাকী জীবনকে রোমান্টিক ভাবছেন। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আলাদা ফ্ল্যাটের সাজসজ্জা দেখাচ্ছেন, টিকটকে বা রেডিটে শেয়ার করছেন, এবং একা থাকা স্বাধীনতা ও স্বাচ্ছন্দ্য হিসেবে উপভোগ করছেন।
গবেষক ড. জাস্টিন লেহমিলার বলেন, পুরুষরা অর্থনৈতিক কারণে দ্রুত একসাথে থাকার প্রবণতায় বেশি, নারীরা সম্পর্ককে ধীরে এগিয়ে নেন, নিজের শর্তে। যেমন এমিলি সানচেজ শেয়ার করেন, একসাথে বসবাস শুরুতে ভাড়া বাঁচাতে সাহায্য করলেও, পরে সম্পর্কের চাপ বেড়ে যায়। একা থাকার অভিজ্ঞতা তাকে আত্মনির্ভর ও আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছে।
ভ্যানেসা ডান মনে করেন, অল্প সময়ে একসাথে থাকা মূলত অর্থের কারণে হলেও, তার সত্যিই প্রিয়জনকে সব সময় পাশে চাওয়াই মূল কারণ ছিল। একা থাকার অভিজ্ঞতা তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করেছে।
সূত্র:The Guardian.